সংক্ষিপ্ত
পুরভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৯৭ নম্বর সন্তোষপুর অ্যাভিনিউয়ে একটি বিরাট অবৈধ বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।
বাঘাযতীনে ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার পরই বেআইনি বাড়ি নিয়ে শাসক ও বিরোধী দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বাঘাযতীনকাণ্ডের ইতিমধ্যেই প্রোমোটারকে বকখালি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই বিরোধীরা নিশানা করতে শুরু করেছে শাসক দলকে। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র দুই কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও মীনাদেবী পুরোহিত একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তারা নিশানা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অনন্যাকে। অভিযোগ অনন্যার রয়েছে একটি অবৈধব বা বেআইনি বাড়ি।
১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনন্যা। বৃহস্পতিবার পুরভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪৯৭ নম্বর সন্তোষপুর অ্যাভিনিউয়ে একটি বিরাট অবৈধ বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। সেটি করেছেন অন্যনা। বাডির নিচেন অংশ অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। নিচের অংশ তৈরি করা হয়েছে হাতির মাথার আদলে। যা এলাকাই ইতিমধ্যেই 'হাতি বাড়ি' নামে পরিচিত। কিন্তু বাড়িটি পুরোপুরি অবৈধ। বিজেপির অভিযোগ অন্যনার এই বাড়িটি বিনা অনুমতিতে তৈরি করা হচ্ছে। বেআইনিভাবে এই বাড়ির পিছনে আরও একটি বাড়ি তৈরি করা যায়। এমনও অভিযোগ করেন সরজ ঘোষ।
বিজেপি কাউন্সিলরের অভিযোগ পরবর্তীকালে মেয়র পারিষদের বৈঠকে তৃণমূল কাউন্সিলরের এই বাড়িটিতে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়। যদিও প্রথমে বাড়িটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে কোনও অজ্ঞাত কারণে পিছিয়ে আসে পুরসভা। তিনি আরও বলেন, বাড়ির জন্য ফাইনও অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুটি বাড়িকেই পরবর্তীকালে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
যদিও বিজেপির এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কলকাতা পুরসভার কোনও আধিকারিক পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ডিজি-সহ বরিষ্ঠ আধিকারিকেরা বাঘাযতীনের বাড়িটি নিয়ে ব্যস্ত। তবে বিজেপি এই অভিযোগ কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের। কলকাতা পুরসভার মেয়ার পারিষদে সদস্য তথা যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তাই কিছুই বলতে পারবেন না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।