সংক্ষিপ্ত
হামলাকারীরা হাসপাতালের ফোর্থ ফ্লোরে তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় এবার সরাসরি যুক্ত হয়ে গেল তৃণমূলের নাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে।
মেঝেতে ছড়িয়ে অজস্র কাচের টুকরো। রোগীর শয্যা উল্টে পড়ে রয়েছে। জীবনদায়ী ওষুধ, ইঞ্জেকশন রাখার ফ্রিজ ভাঙাচোরা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আধ-ভাঙা ভেন্টিলেশন যন্ত্র থেকে কার্ডিয়াক মনিটর। আপাতত আর.জি কর হাসপাতালে চেহারা এরকমই। বুধবারের হামলায় প্রায় তছনছ আরজি কর হাসপাতালের বিস্তীর্ণ অংশ। চার তলায় উঠে তাণ্ডব চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। সেখানে ইএনটি বিভাগ।
হাসপাতালের চিকিৎসক এবং আবাসিক নার্সদের ধারণা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এই হামলা। হামলাকারীরা হাসপাতালের ফোর্থ ফ্লোরে তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় এবার সরাসরি যুক্ত হয়ে গেল তৃণমূলের নাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। এবার তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ এক যুবক নিজেই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে স্বীকার করে নিলেন হামলার কথা।
এদিকে হামলাকারীর এই স্বীকারোক্তির পর কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে দিব্যি বাড়িতে বসে আছেন তিনি? এখনও কেন হামলাকারীকে ধরেনি পুলিশ? তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ বলেই কি ছাড়? দেখা দিয়েছে এমনই নানান প্রশ্ন।
পেশায় জিম ট্রেনার ওই যুবক বলেন, সেদিন রাতে তাঁর চেনা পরিচিত অনেকেই মিছিলে গিয়েছিলেন। যেখানে জিম করেন, সেখান থেকেও অনেকে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন সৌমিক। পুলিশের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিনা জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, গতকাল পুলিশ ফোন করেছিল। তবে এক জায়গায় গিয়েছিলেন বলে আসতে পারেননি।
হামলাকারীর বলেন, তিনি প্রতিবাদ মিছিলে গিয়েছিলেন। এরপর অন্যদের সঙ্গে আরজি করে ঢুকে ভাঙচুর চালান। সৌমিকের কথায়, ‘ইমোশনালি আমিও ওখানে ভাঙচুর করেছি। ওটা সত্যিই আমার অপরাধ হয়েছে, ভুল হয়েছে’। তিনি জানান, কারোর প্ররোচনা ছিল না। তিনি নিজে থেকেই গিয়েছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।