সংক্ষিপ্ত
লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯ খানাই নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর উপনির্বাচনেও সবুজ ঝড়। নিজেদের একাধিক গড় হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সবমিলিয়ে বঙ্গে এখন সবুজ সুনামি।
তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে দুই বিজেপি সাংসদ গেরুয়া শিবির ছেড়ে যোগ দিতে পারেন জোড়াফুলে। ইতিমধ্যেই নব নির্বাচিত দুই সাংসদ মঞ্চে আসারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তার কথায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে অবগত।
এদিকে, লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯ খানাই নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর উপনির্বাচনেও সবুজ ঝড়। নিজেদের একাধিক গড় হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। সবমিলিয়ে বঙ্গে এখন সবুজ সুনামি। আগামী সোমবার ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবস। বিপুল আসনে জয়লাভ করার পর তৃণমূলের প্রথম বড় সভা। আর সেই সভাতেই নাকি থাকবে বিরাট দুই চমক।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের কিছুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জোর গলায় দাবি করেছিলেন বিজেপির ১০ জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এবার সেই একই দাবি শোনা গেল কুণালের মুখেও।
তবে যদি সত্যিই এমনি কিছু ঘটে তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে তাহলে বিজেপির কাছে বড় সেটব্যাক হয়ে দাঁড়াবে। কোন দুজন সাংসদ দলে থেকেও এসব চালাচ্ছ? এই নিয়ে জোর জল্পনা তৈরী হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। এদিন কুণাল আরও বলেন, , “অনেক বিধায়কও তৃণমূলে আসতে চাইছেন। এসব দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দেখছেন। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
যেহেতু ওই দুই সাংসদই সদ্য ভোটে জিতে জয়ী হয়েছেন তাই এক্ষেত্রে দলবিরোধী আইন দেখা হচ্ছে। তাই তাদের আপাতত বলা হয়েছে বিজেপিতে থেকে ভেতরের খবর চালান করতে। যদিও কোন দু’জন সাংসদ ঘাসফুল শিবিরে আসতে চলেছেন সেই নিয়ে বিশেষ কিছু খোলসা করেন নি কুণাল। নির্দিষ্ট করে কোনো নাম শোনা যায়নি তার মুখে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।