সংক্ষিপ্ত
সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক দুর্নীতি নিয়ে গোয়েন্দাদের কাছে নামের তালিকা হস্তান্তর করেছেন তারা। এই তালিকায় সবার নাম রয়েছে বলে দাবি চিকিৎসকদের।
আরজি করের ঘটনার জেরে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাক পড়ে কয়েকজন চিকিৎসকের। সন্দেহভাজনদের তালিকা সিবিআইকে দিয়েছে তারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে চিকিৎসকরা বলেন, 'সিন্ডিকেটের বড় মাথার নাম নিয়ে এসেছি।' তারা কারা? একই কয়েক দিনে চিকিৎসকরাও নাম প্রকাশ্যে আনেন।
দীর্ঘ ২২ দিন পর ২০ হাজার চিকিৎসক রাজপথে। ১ সেপ্টেম্বরেই চিকিৎসকরা পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। মিছিলের পর তারা সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক দুর্নীতি নিয়ে গোয়েন্দাদের কাছে নামের তালিকা হস্তান্তর করেছেন তারা। এই তালিকায় সবার নাম রয়েছে বলে দাবি চিকিৎসকদের।
তিলোত্তমার ঘটনাকে স্বাস্থ্যসেবায় দুর্নীতির পরোক্ষ প্রভাব বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা। ধর্মঘটের জেরে চিকিৎসকদেরও দাবি বর্ধমান মেডিকেল না মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ! তারা সব জায়গায় বিপদে আছে। চিকিৎসকদের মতে, কারা এই সিন্ডিকেট' শুরু করেছে তা খুঁজে বের করতে হবে। তবেই কান টেনে মাথায় আসবে। তিলোত্তমা মামলার আসামিরাও এগিয়ে আসতে পারেন।
আন্দোলনরত চিকিৎসক বলেন, "বড় কাউকে বাঁচাতে, একের পর এক মিথ্যার পাহাড় গড়ে উঠছে। এখানে বড় থেকে ছোট পর্যন্ত দীর্ঘ তালিকা রয়েছে। যাদের দ্রুত তদন্ত প্রয়োজন তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।" আরেক চিকিৎসক বলেন, "এই নামগুলোর মধ্যে পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সচিব, মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছ। তারা কেন সারাদিন সেখানে ছিল তা আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা এই সব নাম উল্লেখ করেছি। আমরা চাই। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।"