সংক্ষিপ্ত

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকার কথা।

সকালে কুয়াশায় মোড়া সূর্য দেখেই ঘুম ভাঙছে শহর কলকাতার। আর তারপর কুয়াশা কাটতেই উছাও ধান্ডার আমেজ। দিন কয়েক ধরে এই রুটিনে ক্লান্ত কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এরকম গরম শেষ কবে পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ, তা নিয়ে বেশ ভাবনা চিন্তা করতে হচ্ছে আবহাওয়াবিদদের। সকালে যা পূর্বাভাস, তাতে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকার কথা।

আপাতত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের যা পূর্বাভাস তাতে এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকার কথা। সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকবে ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন থাকার কথা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও বৃষ্টি হয়নি। কেন এরকম পরিস্থিতি, সে প্রশ্নের উত্তরে আলিপুর জানাচ্ছে নিম্নচাপের মেঘ কাটতে কিছুটা হলেও ব্যাটিং শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া। গত কাল কলকাতায় এক ধাক্কায় ফের ২ ডিগ্রি পারদ নেমে গিয়েছিল। কিন্তু শীত নিয়ে আশার খবর শোনাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর।

ঘূর্ণিঝড় মান্দাসের পরোক্ষ প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সহ পূর্ব ভারতের সব রাজ্যেই আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত দেয় আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেইভাবেই তাপমাত্রা বাড়ছে, বেলা বড়লেই রীতিমত গরমবোধ হচ্ছে। গত শনিবার দক্ষিণ ভারতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শীতের আমেজে তাল কাটে পূর্ব ভারতের বাংলায়। এক রাতে দু’ডিগ্রির বেশি পারদ চড়ে কলকাতায়।

ক্যালেন্ডার বলছে প্রায় মাঝ ডিসেম্বর। অথচ তোমার দেখা নাই রে, তোমার দেখা নাই বলে গলা ছেড়ে গান ধরতে চাইছে গোটা শহর। শীত কোথায়! উধাও কেন! সারা কলকাতা আর শহরতলি জুড়ে এখন এই একটাই প্রশ্ন। বিশ্বকাপ উত্তাপের পারদ চড়াচ্ছে, আর কলকাতায় বোঝাই যাচ্ছে না যে এটা ডিসেম্বর! শীত কবে আসবে সে প্রশ্নের উত্তর সুপর্ণা কেন, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরাও দিতে পারছেন না।

আলিপুর জানাচ্ছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা- এই জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।