সংক্ষিপ্ত

প্রথম পাঁচ স্থানাধিকারীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর মনে আশা ছিল, হয়তো পরের পাঁচে জায়গা করে নেবে কলকাতা। তবে সব আশায় জল ঢেলে জেলা হারিয়ে দিল তিলোত্তমাকে।

শুক্রবার অর্থাৎ ১৯ মে সকাল দশটায় প্রকাশিত হল মাধ্যমিক ২০২৩-এর ফল। জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে চতুর্থ স্থানে। পাশের হারে তৃতীয় স্থানে হলেও মেধাতালিকার প্রথম দশে জায়গা হয়নি কলকাতার। সেখানে জেলার জয়জয়কার। মেধাতালিকায় সব থেকে বেশি স্থান অধিকার করেছে মালদহ থেকে। প্রথম পাঁচ স্থানাধিকারীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর মনে আশা ছিল, হয়তো পরের পাঁচে জায়গা করে নেবে কলকাতা। তবে সব আশায় জল ঢেলে জেলা হারিয়ে দিল তিলোত্তমাকে। কেন এই হাল কলকাতার। প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি পড়াশোনার গুণগত মানে পিছিয়ে পড়ছে কলকাতা। সময় যত গড়াবে, চলবে এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার বিশ্লেষণ।

উল্লেখ্য, ১৬টি জেলা থেকে প্রথম দশে রয়েছেন ১১৮ জন। প্রথম হয়েছেন দেবদত্তা মাঝি- কাটোয়া চৌধুরানী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তিনি। ৭০০ নম্বরে ৬৯৭ (৯৯.৫৭ শতাংশ) পেয়ে প্রথম হয়েছে দেবদত্তা। দ্বিতীয় স্থানে দু’জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ছ’জন। চলতি বছর মাধ্যমিক দিয়েছিল ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১ জন। তাদের মধ্যে পাশ করেছে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। পাশের হার ৮৬.১৬ শতাংশ। ২০ জনের পরীক্ষা বাতিল। ২ জনের রেজাল্ট আটকে রয়েছে প্রযুক্তিগত কারণে।

তফসিলি উপজাতি পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ৭৬ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬ শতাংশ। এবছর ৭৬ দিনের মাথায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করা হল। পুরুষ পরীক্ষার্থীর তুলনায় মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ বেশি। ৭৬ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশিত হল। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হয় ৪ মার্চ। পরীক্ষার দু’মাসের ব্যবধানে ফলপ্রকাশ করল পর্ষদ। এ বছরের মাধ্যমিকে কিউআর কোড থাকছে বলে জানালেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বছরের মাধ্য়মিকে ফেল করেছে ১ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী।