সংক্ষিপ্ত
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রকল্প হল কন্যাশ্রী ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ এড়াতে কড়া নিয়ম জারি করল নবান্ন।
আবাস প্রকল্পে দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। এখনও এই বিতর্ক মেটেনি। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলায় স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি, চুরি, বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই সামাজিক প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং কন্যাশ্রীর টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনওরকম অনিয়মের অভিযোগ উঠুক, এটা চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৬ সালে রাজ্যে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন। দেড় বছরও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার। অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের যে দফতরগুলি সরাসরি গ্রহীতাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের টাকা পাঠায়, সেই দফতরগুলির জন্য ১৬ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সব দফতরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়?
অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়, সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ যাবতীয় তথ্য ঠিক আছে কি না ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে। বিশেষ করে নাম, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফএসসি কোড দেখে নিতে হবে। একজনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে একাধিক প্রকল্পের টাকা পাঠানো যাবে না। রাজ্যের বাইরে ব্যাঙ্কের কোনও শাখায় থাকা অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো চলবে না। এছাড়া আরও অনেক নিয়মের কথা বলা হয়েছে। একজনের টাকা যাতে অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক প্রকল্প বড় ভরসা
শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, দেশের আরও অনেক রাজ্যই মহিলাদের মন জয় করার লক্ষ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প চালু করেছে। ভোটে জেতার ক্ষেত্রে এই প্রকল্প বড় ভূমিকা পালন করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
দিল্লিতেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ে বেশি টাকা দেবেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল!