সংক্ষিপ্ত

ডেঙ্গু নিয়ে রাজ্য তথ্য দিচ্ছে না বলে অভিযোগ কেন্দ্রের। অন্যদিকে রাজ্য সরকার দুষল ওয়েবসাইটকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে কড়া বার্তা দিল রাজ্যকে।

 

পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সককারকে ডেঙ্গু নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য দিচ্ছে না। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ডেঙ্গু নিয়ে কোনও তথ্য দিচ্ছে না। জায়ারিয়াল ডিজিস অ্যান্ট নিউট্রিশনের ১৬তম এশিয়ান কনফারেন্সে অংশ নিতে কলকাতায় এসেছন পাওয়ার। সেই সময়ই তিনি অভিযোগ করেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বলেছেন প্রতি নিয়ত রাজ্যগুলিতে ভেক্টর -জিনত রোগ নিয়ন্ত্রণে গাইড করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমাদের পোর্টাল সমস্ত রাজ্যগুলিকে এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই বিষয়ে তেমব আগ্রহ দেখায়নি। বারবার চাওয়া সত্ত্বেও ডেঙ্গু নিয়ে কোনও তথ্য কেন্দ্রকে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে রাজ্য সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন সংবাদ মাধ্যমে মাধ্যমেই তিনি রাজ্যের কাছ থেকে ডেঙ্গু নিয়ে সমস্ত তথ্য আরও একবার চাইলেন বলেও জানিয়েছেন।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। রাজ্য সরকারের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইটের ত্রুটি রয়েছে বলেও অভিযোগ করে। রাজ্য সরকারের দাবি গত কয়েক মাস ধরে রাজ্য কেন্দ্রকে ডেঙ্গু নিয়ে তথ্য পাঠাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা দফতরের ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, 'আমরা মন্ত্রীর কথা শুনেছি, হয়তো কিছু জায়গায় তথ্য আপলোড করা হয়নি। কিন্তু এই তথ্য পরেও কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়েছে রাজ্য। ' তিনি বলেন ওয়েবসাইটে দেরিতে তথ্য আপলোড করা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার কয়েক মাস ধরে টানা কেন্দ্রীয় সরকারকে তথ্য পাঠাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ন্যাশানাল সেন্টার ফর ভেক্টর বোর্ন ডিজিজেস অ্যান্ট কন্ট্রোলের ওয়েবসাইট অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডেঙ্গু সম্পর্কিত শেষ তথ্য আপলোড করেছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৯। কোনও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কোনও মানুষের মৃত্যু হয়নি বলেও দাবি করা হয়েছে। কিন্তু তারপর রাজ্য সরকার ডেঙ্গু নিয়ে কোনও তথ্য আপলোড করেনি ওয়েবসাইটে। তবে একটি সরকারি সূত্রের দাবি এই মরশুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার।

এদিনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কলকাতায় এসে রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু না করায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি বলেন কেন্দ্রের পরিষেবা থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মহামারির পরে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারেরও উচিৎ স্বাস্থ্য পরিষেবায় জোর দেওয়া।

আরও পড়ুনঃ

অন্য মেজাজে মোদী, নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ভেঙে বেঙ্গালুরুতে আম জনতার সঙ্গে মিশে গেলেন প্রধানমন্ত্রী

রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ 'বাংলার শাড়ি' , প্রতিটি জেলায় আউটলেট খুলতে নির্দেশ মমতার

Liquor Policy: দিল্লি ও পঞ্জাবের পর এবার সিবিআই-এর নজরে বাংলা, উঠছে একটি ফরাসি সংস্থার নামও