সংক্ষিপ্ত
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সব জায়গায় জনসমাগম হচ্ছে ভালোরকম। এবার ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো জোরকদমে প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর।
এক টানা ২ বছরের কোভিড মহামারী পেরিয়ে ২০২২-এ বিশ্বের দুয়ারে আবার ফিরে আসতে চলেছে একটি সুস্থ বড়দিন। উৎসাহপূর্ণ দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর বাঙালির উদযাপনের তালিকায় ডিসেম্বরের ছুটি। কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভিড় জমাচ্ছেন শয়ে শয়ে বাঙালি। এখানে বিনোদন পার্ক ছাড়াও রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা, ভারতীয় জাদুঘরের মতো দ্রষ্টব্য স্থান। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই এখানে জনসমাগম চলছে ভালোরকম। এবার ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো জোরকদমে প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতর। যাত্রীদের চাহিদা রয়েছে, এমন রুটগুলি ছাড়াও নিউ টাউনের ইকো পার্ক কেন্দ্রিক রুটে বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, আলিপুরে গড়ে ওঠা নতুন জেল মিউজ়িয়ামকে কেন্দ্র করেও বিশেষ বাস চালাতে উদ্যোগী হয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
বিগত দু’বছরের তুলনায় চলতি বছরে ইকো পার্কে ভিড় অনেকটাই বাড়তে পারে। বছরের শেষ সপ্তাহের ছুটিতে সেখানে প্রায় প্রতিদিনই লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। চাহিদা পূরণে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করতে ইতিমধ্যেই হিডকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পরিবহণ দফতরের অধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, ইকো পার্ক, বিশ্ব বাংলা গেট-এর পথ ধরে যাতায়াত করে, এমন রুটে দৈনিক ১০০-১৩০টি বাস চালানো হবে ওই সময়ে। দুপুরের পর থেকে শহরের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছাড়বে ওই সব বাস। ইকো পার্ক সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ ছাড়াও প্রতি বার নিউ টাউনের পেঁচার মোড় থেকে অতিরিক্ত বাস ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ বারও অনেকটা সেই রীতি অনুসরণ করা হবে। পাশাপাশি, বেসরকারি বাসের জোগান বাড়াতেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিবহণ দফতরের মাধ্যমে ওই সময়ে বাড়তি বাসের ব্যবস্থা যাতে করা যায়, সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। ওই রুটগুলিতে সরকারি বাসের সঙ্গে বেসরকারি বাসও যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যায় নামে, তা দেখা হচ্ছে। এ ছাড়াও আলিপুরের জেল মিউজ়িয়ামের কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট রুটে বাস চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ নিগম। সূত্রের খবর, পরিকল্পনা খুব দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে। এ সবের পাশাপাশি ই এম বাইপাস, পার্ক স্ট্রিট, সল্টলেক-সহ যে সব রুটে যাত্রীদের চাহিদা বেশি, সেখানেও বাসের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
পরিবহণ নিগমের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে যাত্রীদের চাহিদা বাড়ার ফলে নিগমের আয়ও বাড়ানোর সুযোগ থাকে। ফলে, কম ভাড়ায় বাস চালানোর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আয় বাড়াতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন বাস মালিকরা।
আরও পড়ুন-
ব্যবহারকারীদের জন্য বড় বদল আনছে ইউটিউব, মন্তব্য করার আগে তা ক্ষতিকর কিনা, যাচাই করার সুযোগ
বাংলাদেশে শুরু হতে চলেছে মেট্রো রেল পরিষেবা, আর্থিক সঙ্কটে জাঁকজমকে কাটছাঁট হাসিনা সরকারের