সংক্ষিপ্ত

লিভ ইন সম্পর্কের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং অশান্তি এমন চরমে গিয়ে পৌঁছল যে, তার জেরে নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন এক মহিলা!

লিভ ইন সম্পর্কের বৈধতা নিয়ে সারা ভারতের মানুষ বিভিন্ন মতামতে বিভক্ত। লিভ ইন-এর আইনি স্বীকৃতি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও জটিল জট রয়েছে। আইনি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত, নাকি অনুচিত, তা নিয়ে আইন- বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও তীব্র মতানৈক্য দেখা গেছে। সেইজন্য এই সম্পর্কে থাকলে যে যে জটিলতা তৈরি হয়, সেগুলি অনেকক্ষেত্রেই আইনের জটের ফাঁসে আটকে থাকে। খাস কলকাতা শহরও সেই জটের বাইরে নয়। সেই শহরেই লিভ ইন সম্পর্কের মধ্যে ঘটে গেল সাংঘাতিক ঘটনা!


-
লিভ ইন সম্পর্কের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং অশান্তি এমন চরমে গিয়ে পৌঁছল যে, তার জেরে নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন এক মহিলা! ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার ঠাকুরপুকুর এলাকার মহেশতলা ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ চট্টা অঞ্চলে। সেখানেই নিজের লিভ ইন সঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন বাস করছিলেন এক মহিলা। কিন্তু, হঠাৎ করেই দু'জন ঝগড়াঝাঁটিতে এমন উত্তাল হয়ে ওঠেন যে, শেষমেশ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ-টাই কেটে দেন ওই মহিলা। গুরুতর জখম অবস্থায় ব্যাপক চিৎকার করতে থাকেন ওই ব্যক্তি। শেষমেশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়েছে।

-

স্থানীয় মানুষজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের দক্ষিণ চট্টা এলাকায় বসবাসরত ওই ব্যক্তির নাম বাপি মোল্লা। তিনি ও তাঁর সঙ্গিনী মহিলা এই এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁরা বিবাহিত নন। লিভ ইন সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। মহিলার অভিযোগ, তিনি নিজে বিবাহিতা এবং তাঁর একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি বাপির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একদিন নিজের বাড়িঘর, স্বামী ও সন্তানকে ত্যাগ করে তিনি বাপী মোল্লার সঙ্গে একত্রে বাস করা শুরু করেন। কিন্তু, তাঁর অভিযোগ যে, তাঁকে বিয়ে করার জন্য কথা তুললেই বাপী নাকি তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা শুরু করে দিতেন। এমনকি, বাপীর কোনও রোজগারও ছিল না। এই সব নিয়েই দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। অশান্তির সময়েই একদিন হঠাৎ করে ওই মহিলা বাপীর যৌনাঙ্গ কেটে নেন বলে অভিযোগ। বাপিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রমণকারী মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।

-

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।