সংক্ষিপ্ত

বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই-এ তৃণমূল নেতা খুনের পর ৮ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এখন তোলপাড় দেশ। এই নিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে রাজনৈতিক তরজা লেগে গিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। 

বীরভূম-এর বগটুই-এর হিংসায় ফের উত্তেজনার পারদ  চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বুধবার সকালে তিনি দুটি ভিডিও টুইট করেন। এতে তাঁর দাবি এই ভিডিওগুলি বীরভূমের বগটুইমুখী বিজেপি-র প্রতিনিধি দল। যারা শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে ল্যাঁচা খেয়ে নাকি বীরভূমে যাচ্ছেন। টুইটার পোস্টে এমনই দাবি করেছেন কুণাল। মঙ্গলবার রাজভবন থেকে বেরিয়েই বুধবার বগটুই-এ যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি-র পরিষদীয় দল বুধবার বগটুই-এ ঢোকার চেষ্টা করবে। 

মঙ্গলবার রাতেই অবশ্য রাজ্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে এবং রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার টুইট করে জানিয়ে দেন যে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঠিক করে দেওয়া ৫ সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ঘটনাস্থলে যাবে। কিন্তু সেই প্রতিনিধি দল বুধবারই বগটুই-এ যাবে কি না তা নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি। তাই কুণাল ঘোষের পোস্ট করা ভিডিও আদৌ বিজেপি-র প্রতিনিধি দলের কি না তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, কুণাল ঘোষের পোস্ট করা ভিডিও-তে আধা সেনাদের প্রচুর সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে। এদের সঙ্গে আবার বেশকিছু নেতা গোছরের লোকজনকে দেখা গিয়েছে। কুণাল এদের ভিডিও পোস্ট করে বেশ কটাক্ষের সুরেই লিখেছেন - 'বিজেপি-র পিকনিক, গাড়ি বাসে যথাযথ আয়োজন বলেই খবর, তবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা না হলে চলে, বুধবার সকালে, উল্লেখ্য ওঁরা রামপুরহাটের দুঃখনজক ঘটনাস্থল দেখতে যাচ্ছেন'

কুণাল ঘোষের পোস্ট করা দ্বিতীয় ভিডিও-তে বিজেপির উত্তরীয় গলায় ঝোলানো একজনকে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু নেতা গোছরের লোকজন হাসিমুখে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঠাঠ্ঠা-তামাশায় মেতে। এছাড়াও এক মহিলার পরণে গেরুয়া ও সবুজ রঙের শাড়িও দেখা গিয়েছে। কিন্তু, ভিডিওটি এমনভাবে তোলা যে কাউকে সেভাবেই পরিষ্কার করে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। এই দ্বিতীয় ভিডিও-তেও একই ক্যাপশন রেখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র।