সংক্ষিপ্ত

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলহারের জলে প্লাবিত ৮ টি গ্রাম। প্লাবিত ঘর বাড়ি ও কৃষি জমি। জলের মধ্যে বন্দী প্রায় ৫ হাজার পরিবার। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ টি গ্রামের মধ্যে কাউয়াডোল, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, মিরপাড়া, রশিদপুর, খোপাকাঠি, তাঁতিপাড়া এবং ইসলামপুরে ফুলহারের জল ঢুকে পড়েছে। 

বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় মিলছে না ত্রাণ। জুটছে না খাবার ও পানীয় জল। এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা। এনিয়ে লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছেন তাঁরা। 

মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলহারের জলে প্লাবিত ৮ টি গ্রাম। প্লাবিত ঘর বাড়ি ও কৃষি জমি। জলের মধ্যে বন্দী প্রায় ৫ হাজার পরিবার। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ টি গ্রামের মধ্যে কাউয়াডোল, উত্তর ও দক্ষিণ ভাকুরিয়া, মিরপাড়া, রশিদপুর, খোপাকাঠি, তাঁতিপাড়া এবং ইসলামপুরে ফুলহারের জল ঢুকে পড়েছে। পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা নির্বাচনে এই সব গ্রামে নাম মাত্র ভোট পেয়েছে তৃণমূল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁরা যাবতীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনকী, তাঁদের ত্রাণও দেওয়া হচ্ছে না। জুটছে না একটা ত্রিপল। পাশাপাশি খাবার ও পানীয় জল না থাকায় অনাহারে জলবন্দি হয়ে রয়েছে প্রায় ৫ হাজারটি পরিবার। 

সোমবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে মালদহের বিভিন্ন ব্লকেই। অভিযোগ, সব জায়গায় বেছে বেছে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার শাস্তি হিসেবে তাঁদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না। জলের মধ্যে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। কিন্তু চিকিৎসা করাতে পারছে না। কারণ তাঁদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডও নেই। এমনকী, করোনার টিকা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে তাঁদের। 

আরও পড়ুন- 'রাজ্য সরকারের ভালো কাজের পাশে আছে বিজেপি', লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে বললেন দিলীপ

যদিও এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বুলবুল খান বলেন, "তৃণমূল সরকারের কাছে সবাই সমান। তৃণমূল এই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি, যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে আমরা নিজেরা গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকা গুলোকে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে আসব। তৃণমূল সরকারকে বদনাম করার চক্রান্ত করছে বিজেপি।" পাল্টা বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য কুন্দন মণ্ডলের কটাক্ষ, "ত্রাণ, ত্রিপল তৃণমূলের লোক সব লুটপাট করে নিজেরা বিক্রি করে দিচ্ছে, টিকা শুধু তৃণমূলের লোকগুলোই পাচ্ছে, আর এখানকার লোকগুলোকে বিহারে যেতে হচ্ছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা দেখে সেখান থেকেও তাদের গলা ধাক্কা খেতে হচ্ছে। সব কিছুতেই তৃণমূল রাজনীতি করছে।"

আরও পড়ুন- 'পুলিশের দরজা ভাঙার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ', পাল্টা মামলা করতে হাইকোর্টের পথে BJP নেতা সজল ঘোষ

আরও পড়ুন- খেলার সময় চলে গিয়েছিল বিষাক্ত বোলতার চাকের কাছে, মৃত্যু শিশুর, অসুস্থ আরও ৩

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, বাড়িঘর সব জায়গায় জল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সরকারের কোনও সাহায্য এসে পৌঁছায়নি। রাস্তায় দিন কাটাচ্ছে তাঁরা। মহিলাদের পার্শ্ববর্তী দৌলত নগর হাইস্কুলে ভর্তিও নেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের কথায়, 'আমরা বিজেপি করি বলে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছি না। এরকম হলে কীভাবে কী করব।' 

কুন্দন মণ্ডল বলেন, "এই এলাকাটি বিজেপির। তাই তৃণমূল সবকিছুতে দলবাজি করছে। ত্রাণ থেকে শুরু করে ভ্যাকসিন। পঞ্চায়েত থেকে আমার হাতে সঠিকভাবে জিনিস দেওয়া হয় না। তৃণমূলের হয়ে যিনি হেরে গিয়েছেন তাঁকে ডেকে জিনিস দেওয়া হয়। প্রশাসন মারাত্মক অসহযোগিতা করছে আমাদের সঙ্গে।" যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বুলবুল খান। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কখনও দল দেখে কাজ করে না। সবাই আমাদের চোখে সমান। ওই এলাকায় গতবার আমরা নিজে দাঁড়িয়ে ত্রাণ দিয়ে এসেছিলাম। এবার ত্রাণ পঞ্চায়েতে পাঠানো হয়েছে। পৌঁছতে তাই হয়তো কিছুটা সময় লাগছে। যে সব অভিযোগ উঠছে তা মিথ্যে।"

YouTube video player