সংক্ষিপ্ত
- রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল রাস্তা
- প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ
- টাকা তুলে নিজেরাই রাস্তা সারাইয়ের কাজে নামলেন গ্রামবাসীরা
- ওই রাস্তা রেকর্ডে নেই, সাফাই পঞ্চায়েত সদস্যের
এলাকার রাস্তাঘাট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রশাসনের। কিন্তু প্রশাসনিক আধিকারিক কিংবা স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বলেও যদি কাজ না হয়, তাহলে? বিক্ষোভের সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনটাই দেখে অভ্যস্ত সকলেই। কিন্তু প্রশাসনের ভরসায় না থেকেও যে প্রয়োজন মিটিয়ে নেওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন উত্তর দিনাজপুরে হেমতাবাদের বারোইবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা।
দীর্ঘক্ষণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল রাস্তা। বর্ষাকালে আবার নিচু জমি জলও জমে যায়। নিত্যদিন যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যা পড়তে হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায়ই রাস্তায় পড়ে গিয়ে আঘাত পায় স্কুলের পড়ুয়ারা। রাস্তা মেরামতি করে দেওয়া নিদেনপক্ষে মাটি দিয়ে একটু উঁচু করে দেওয়ার আর্জি নিয়ে ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বারোইবাড়ি এলাকায় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তা সারাই করা বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এদিকে বেহাল রাস্তায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছিল। শেষপর্যন্ত এলাকার মানুষ সিদ্ধান্ত নেন, প্রশাসন কবে রাস্তা সারিয়ে দেবে, সেই ভরসায় থাকলে চলবে না। বরং নিজেরাই রাস্তা সারিয়ে নেবেন। যেমন ভাবা, তেমনি কাজ।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাই নিজেরাই পয়সা খরচ করে মাটি নিয়ে এসেছেন। এখন জোরকদমে চলছে মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করার কাজ। একশো দিনের মধ্যে মাটি ফেলে রাস্তা উঁচু করার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বারোইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের এক সদস্যের দাবি, 'ওই রাস্তাটি হয়তো কারও ব্যক্তিগত জমিতে তৈরি করা হয়েছে। যে এলাকায় রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছেন স্থানীয়রা, সেই এলাকায় অন্তত পঞ্চায়েতের রেকর্ডে কোনও রাস্তার উল্লেখ নেই। তাই রাস্তার সারাইয়ে কাজ করা যায়নি।' তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য।