সংক্ষিপ্ত

গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগীদের ওষুধ দেওয়া হত না। সব সময় বলা হত ওষুধ নেই। অথচ সেই ওষুধগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন তা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। 

স্বাস্থ্যকেন্দ্র (Health Care Center) পরিষ্কার করতে গিয়ে একাধিক মেয়াদ উত্তীর্ণ (Expired Medicine) ওষুধ দেখতে পেয়েছিলেন সাফাইকর্মীরা। সেগুলি কোনও কাজে লাগবে না বলেই তা ফেলে দেন তাঁরা। সেই বিষয়টি গ্রামবাসীদের (Local People) নজরে আসে। তারপরই এর প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সময়ে ওষুধ মেলে না। অথচ সেই ওষুধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত রেখে তা মেয়াদ উত্তীর্ণ করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের কুখুড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। 

গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে রোগীদের ওষুধ (Medicine) দেওয়া হত না। সব সময় বলা হত ওষুধ নেই। অথচ সেই ওষুধগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন তা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ওই গ্রামের এক বাসিন্দা ফেন্সি বিবি বলেন, "আমরা যখনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতাম দেখতাম সবাই মিলে গোল টেবিল করে গল্প করছেন। প্রেশার (Pressure) মাপার কথা বললে দিদিমণিরা বলতেন মেশিন খারাপ। ওষুধ কাউকে দিতেন না। অথচ দেখছি সেই ওষুধ ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আমার স্বামী বলতে গেলে জেলে ভরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।"

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু বঙ্গে, রাতের তাপমাত্রা বাড়বে ৩ ডিগ্রি
    
কানিওর গ্রামের বাসিন্দা দুলাল খাঁ বলেন, "আমরা এখানে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা পেতাম না। কাউকে ওষুধ দেওয়া হত না। মাস তিনেক আগেও ক্যানেলের জলে ওষুধ ফেলেছে। কিন্তু তখন প্রমাণ না থাকায় কিছু বলিনি। এবার হাতেনাতে ধরে ফেলেছি। তাই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।"

আরও পড়ুন- 'কেউ অহঙ্কার করে থাকলে একলাই চলো', ফের চেয়ারপার্সন হওয়ার পর কংগ্রেসকে নিশানা মমতার
    
মহিলা হেলথ সুপারভাইজার রানু গুপ্তা বলেন, "বুধবার ছিল শিশুদের টিকাকরণের (Vaccination) দিন। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে দেখেন গেটে তালা ঝোলানো। খবর পেয়ে আমি এখানে এসে দেখছি তালা ঝোলানো। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁদের অভিযোগ ওষুধ না দিয়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমি বিএমওএইচকে (BMOH) জানিয়েছি। জানানো হয়েছে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরেই টিকাকরণের কাজ চালু করতে বলেছি।"

আরও পড়ুন- স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত নিয়োগের দাবি, PSC ভবনের সামনে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল কলকাতা
    
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিএমওএইচ প্রসেনজিৎ বিশ্বাস বলেন, "ওখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ওই ওষুধগুলো তিন চার বছর আগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দিদিমণিরা ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে ওই ওষুধগুলো দেখতে পেয়ে তা ফেলে দেন।" পরে বিএমওএইচ এই বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইর থেকে তালা খুলে দেন গ্রামবাসীরা।