সংক্ষিপ্ত

ICSE পরীক্ষায় ভারতের দ্বিতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্থান অধিকার করল ব্যারাকপুর মর্ডান ইংলিশ মিডিয়ামের দশম শ্রেণীর ছাত্র এবং দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠের বাসিন্দা বৈদুর্য ঘোষ

ICSE পরীক্ষায় ভারতের দ্বিতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রথম স্থান অধিকার করল ব্যারাকপুর মর্ডান ইংলিশ মিডিয়ামের দশম শ্রেণীর ছাত্র এবং দক্ষিণেশ্বর আদ্যাপীঠের বাসিন্দা বৈদুর্য ঘোষ। ICSE পরীক্ষায় ৪৯৮ নম্বর পেয়ে দেশে দ্বিতীয় ও রাজ্যে প্রথম হয়েছেন বৈদূর্য। বৈদূর্যর এই ফলাফলে খুবই খুশি তার অভিভাবকরা। বৈদুর্য জানিয়েছে, সে এত ভালো ফল করবে তা অবশ্য আশা করেনি।  ICSE পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই খুশির হাওয়া ঘোষ পরিবারের। গোটা পরিবারই আনন্দে মেতে উঠেছে। সকাল থেকেই আত্মীয়দের ভিড় ছিল বাড়িতে। শুভেচ্ছা জানিয়েছে প্রতিবেশীরাও। 

বৈদুর্যের দুর্দান্ত ফলাফলের খবর  পেয়ে দক্ষিণেশ্বর আরিয়াদহে বৈদূর্যর বাড়িতে গিয়ে সম্বর্ধনা জানান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের ছাত্র বৈদূর্য ঘোষের সাফল্যে যে তিনি খুশি হয়েছেন তা জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। মদন মিত্র আরও জানিয়েছেন তিনি বৈদুর্যের পাশে থাকবেন। তাকে যাবতীয় সাহায্য করবেন। মদন মিত্র জানিয়েছেন কামারহাটির পাশাপাশি রাজ্য ও গোটা দেশের নাম একটি উজ্জল করবে বৈদুর্য। বৈদুর্যের বাবা মাকে পুষ্প স্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশাপাশি বৈদুর্যের হাতেই ফুল আর মিষ্টি তুলে দিয়েছেন। 

আইসিএসই ( ICSE ) বোর্ডের মাধ্যমিকে রাজ্যে সম্ভাব্য তৃতীয় ও জেলায় প্রথম প্রাপ্তি সরকার ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে জলপাইগুড়ি হলিচাইল্ড স্কুল মেধাবী ছাত্রী। জলপাইগুড়ি তিন নম্বর ঘুমটি কদমতলা বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি। বাবা পেশায় পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময় সরকার ও মা হীরা পাল, দেবনগর কুমুদিনী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। প্রাপ্তি গিটার বাজাতে ছবি আঁকতে ভালবাসে। অবসর সময় কাটে  গান শুনে আর গল্পের বই পড়ে। আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা প্রাপ্তির। রবিবার রাতে খুশির হওয়া বাড়িতে।

পরীক্ষায় ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৮ পেয়ে বৈদুর্যের সঙ্গে রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান এবং দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আসানসোলের অভয় কুমার সিংহানিয়া। এই পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করেছে মোট ৯ পড়ুয়া। বৈদুর্য, অভয় ছাড়াও রয়েছে কণিকা সাহা, আলিয়া রাফাত, বাকির আমির মার্চান্ট, মহম্মদ মাসুদ ইকবাল, ঐশ্বরিক দে, শুভজিৎ পাল এবং আদ্রিতি গুপ্ত৷ কলকাতার অনেক পড়ুয়ার নামই রয়েছে মেধাতালিকায়৷। রাজ্যের ৪১৫ টি স্কুলের মোট ৪০৭৩৬ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছিল এই বছর। তাদের মধ্যে ৪০৭২৬ জন পাস করেছে। পাশের হার ৯৯.৯৮%।