সংক্ষিপ্ত

  • করোনার থাবায় বদল হচ্ছে দেড়শো বছরের পুরনো ঐতিহ্য
  • এবছর ইমামবাড়ার চার দেওয়ালের মধ্য়ে আবদ্ধ মহরমের শোকযাত্রা
  • সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই হবে নানান অনুষ্ঠান
  • তবে, এবছর অনুষ্ঠানে সেভাবে জাঁকজমক থাকছে না
     

করোনা আবহে দেড়শো বছরের ঐতিহ্য বদল হচ্ছে মুর্শিদাবাদের ইমামবাড়ায়। সামাজিক দূরত্ব মেনে ইমামবাড়ার মধ্য়ে সিমাবদ্ধ থাকছে এবছর মহরমের শোকযাত্রা। করোনা মহামারির বিষয়টি মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাগ মহরম কমিটি। সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন গোটা মুসলিম সমাজ। রবিবার মহরমের উৎসব হলেও তা হবে করোনা বিধি মেনেই। ইতিমধ্য়েই করোনা সচেতনতায় প্রচার শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের মহরম কমিটি গুলি।

এবিষয়ে নবাব বাহাদুর সৈয়দ মহম্মদ আব্বাস আলি মির্জা বলেন, ''এই সিদ্ধান্তে আমাদের কিছুটা হলেও মনখারাপ হয়েছে, তবে এটা মনে রাখতে হবে, হজরত ইমাম হোসেন মানবিক কারনেই অত্য়াচারী এজিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে শহিদ হয়েছিলেন, তাই মানবিক কারনেই মহরমের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ''।

নবাব ফিরাদুন জার আমল থেকে অর্থাৎ ১৮৪৭ সালের পর থেকে নবাব নগরী ইমামবাড়াতে শোকের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে মহরম। হাজারদুয়ারির সামনে ইমামবাড়াতে চলতে থাকে নানান অনুষ্ঠান। হাত মাতম, জঞ্জির মাতম, আগুন মাতমের মধ্য় দিয়ে চলে মহরমের শোকপালন। এরপর, দুলদুল (ঘোড়া) সহ আলম পাঞ্জা নিশানা নিয়ে ইমামবাড়া থেকে জুলুস প্রন্তরের উদ্দেশ্য়ে রওনা হয়।  প্রতিবছর এই অনুষ্ঠান ঘিরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ইমামবাড়ায়। শুধু মুসলিম নয় সমবেতভাবে মিলিত হন সবধর্মের মানুষ। মহরমের এই জুলুস পরিণত হয় সম্প্রীতির যাত্রায়। 

কিন্তু করোনা আবহে এবছর সেই উৎসবে সেভাবে জাঁকজমক করা হচ্ছে না। ইমামবাড়ার চার দেওয়ালের মধ্য়েই সীমাবদ্ধ থাকছে এই অনুষ্ঠান। মহরম পালন হচ্ছে করোনা স্বাস্থ্য় বিধি মেনেই।