সংক্ষিপ্ত

চিরাচরিত প্রথা ভেঙে মহিলা পুরোহিতের পৌরহিত্যে মঙ্গলবার এমন এক বিয়েবাড়ির সাক্ষী থাকলো মহিষাদল। যেখানে মন্ত্রোচ্চারনের পাশাপাশি তার ব্যাখা, সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত-এক্কেবারে জমজমাট বিয়ের আসর।

মহিলা পুরোহিতের (female priest) মন্ত্রোচ্চারণে সরগরম ছাদনাতলা (wedding)। চিরাচরিত প্রথা ভেঙে (breaking the tradition) মহিলা পুরোহিতের পৌরহিত্যে মঙ্গলবার এমন এক বিয়েবাড়ির সাক্ষী থাকলো পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল। যেখানে মন্ত্রোচ্চারনের পাশাপাশি তার ব্যাখা, সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত-এক্কেবারে জমজমাট বিয়ের আসর।

এ যেন রিলের প্রতিচ্ছবি রিয়েলে। রিলের শবরীকে, মহিলা পুরোহিত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে কম ঝক্কি পোয়াতে হয়নি, আর সেই মহিলা পুরোহিতকে দিয়েই নিজের বিয়ে করাবেন এমন পণ করেছিলেন পূর্বমেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের বাসিন্দা দেবাহুতি হালদার। আর তার জন্য মহিলা পুরোহিতদের ডেট পেতে অপেক্ষাও করতে হয়েছে। অবশেষে মঙ্গলবার বিয়ের পিড়িতে বসলেন দেবাহুতি। 

চার মহিলা পুরোহিতের দল এসেছিলেন কলকাতা থেকে। বিয়ের মন্ত্রোচ্চারনের পাশাপাশি, সেই মন্ত্রের ব্যাখ্যা, সঙ্গে ররবীন্দ্রসংগীত। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন অতিথি, অভ্যাগতরা। নিজে মহিলা হয়ে, একমাত্র মেয়ের বিয়েতে প্রচলিত রীতিনীতির ছক ভেঙে মহিলা পুরোহিতদের স্বীকৃতি দিতে এই উদ্যোগ, জানালেন কনের মা। আর মহিলা পুরোহিতদের দিয়েই, নিজের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন, এটাই ছিল দেবাহুতির আশা। 

তাই নিজের পছন্দমত দিনে নয়, পুরোহিতদের দিনেই মঙ্গলবার চার হাত এক হল তাদের। আর পেশাগত কারনে নয়, সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করা মহিলা পুরোহিতদের বক্তব্য, তাঁরা ভালো লাগা থেকে এই কাজটা করে থাকেন। মেয়েদের শিক্ষার অধিকার যদি থাকে, তাহলে সবধরনের পেশায় তাদের সমান থাকা উচিত।