সংক্ষিপ্ত
নতুন করে স্কুল খোলার দিনে পুলিশের মানবিক মুখ দেখল রাজ্য। হাইস্কুলের পাশ থেকে বছর ৫৫-র ভবঘুরে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করল মালদহের পুলিশ।
মালদহ -তনুজ জৈনঃ-নতুন করে স্কুল খোলার দিনে পুলিশের (Malda Police) মানবিক মুখ দেখল রাজ্য (West Bengal) । হাইস্কুলের পাশ থেকে বছর ৫৫-র ভবঘুরে বৃদ্ধাকে উদ্ধার করল পুলিশ। এই মুহূর্তে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবুও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রায় দেড় বছর পর খুলেছে স্কুল। এদিকে এই মাঝের সময়টায় যেন ক্লাসরুমের চিৎকার, হইচই দুষ্টমী না দেখতে পেয়ে ক্লান্ত প্রকৃতি। রোজগার হারিয়ে সর্বশান্ত ঝালমুড়ি-আলুকাবলি আর আইসক্রিম কাকুরাও। তাই বন্ধ হরিচন্দ্রপুরের হাইস্কুলটাও। তবে নজর হারায়নি অশীতিপর ভবঘুরে বৃদ্ধার উপর থেকে। অসুস্থ অবস্থায় দিনের পর দিন বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ওই বৃদ্ধা। এদিকে পাল্লা ভারী করেছে কোভিড। তবুও ফিরে তাকিয়েছে গ্রামবাসী। বাড়িয়ে দিয়েছে সাহায্যের হাত। উল্লেখ্য, মালদহে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার অন্তর্গত হরিশচন্দ্রপুর হাই স্কুলের পাশে পড়েছিলেন অজ্ঞাত পরিচয় ভবঘুরে এক বৃদ্ধা। বলতে পারছেন না নিজের নাম, ঠিকানা। কিন্তু আসেনি তার বাড়ির কোন লোক খোঁজ করতে। এদিকে নিজেও তিনি তার নাম ঠিকানা বলতে পারছেন না। পাড়ার লোকেরা দুই-বেলা গিয়ে খাওয়ার এবং জল দিয়ে আসছিলেন। তবে ১৬ নভেম্বর না কি ছিল এই দিনটাতে। ছেলে-মেয়েদের নিষ্পাপ ভালবাসার তরঙ্গই বোধয় পৌছে গিয়েছে প্রশাসনের রক্ষা কর্তাদের কাছে।পুরো বিষয়টি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের কানে আসতেই সেই গ্রামে ছুটে যান তারপরে সেই বৃদ্ধাকে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। এই মুহূর্তে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে তার সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করা হয় । ওই ভবঘুরে বৃদ্ধার বাড়ি কোথায় তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কী না বোঝার চেষ্টা করছেন পুলিশ।
আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari: বাংলার বুকে একের পর এক খুন-ধর্ষণ, চুপ কেন মমতা, বিবৃতি চাইলেন শুভেন্দু
স্থানীয় বাসিন্দা রিমা পাশওয়ান বলেন, " চার পাঁচ দিন ধরে ওই ভাবে পড়েছিলেন। আমরা জল, খাওয়ার দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তার বাড়ির লোককে আসতে দেখা যায়নি। পুলিশ জানতে পেরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বা প্রধান জানলেও আসেননি।"হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন," আমরা জানতে পারি এরকম একজন মহিলা আশ্রয়হীন ভাবে পড়ে আছে। এসে দেখি উনি কিছু বলতে পারছেন না। হাসপাতালে উনার চিকিৎসা এবং সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করেছি। সুস্থ হলে ওনাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।"হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ছোটন মন্ডল বলেন, " হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির সঙ্গে কথা হয়েছে। পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি করে যায়। বয়স হবে আনুমানিক ৫৫ বছর । মানসিক ভারসাম্যহীন হলে সেই চিকিৎসার পরিকাঠামো গ্রামীণ হাসপাতাল এ নেই। সে ক্ষেত্রে অন্য জায়গায় পাঠাতে হবে।" এই ঘটনায় পুলিশের মানবিক রূপে খুশি এলাকাবাসী। কিন্তু স্থানীয় নেতা বা জন-প্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে