সংক্ষিপ্ত
প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠেকে অনুপস্থিত মমতা
তীব্র কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
তুলে আনলেন নবীন পট্টনায়কের প্রসঙ্গ
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীত ভোট সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপিত দিলীপ ঘোষ ৷ সকলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যশ পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর অনিশ্চয়তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি।
শালবনীর কর্ণগড় এলাকাতে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার পরে মেদিনীপুর শহরে একটি খাদ্য বিলি কর্মসুচীতেও উপস্থিত ছিলেন ৷ এদিন দিলীপ ঘোষ রাজ্যে ক্রমবর্ধমান হিংসা ও আক্রমন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷ তিনি বলেন- প্রতিনিদিনই রাজনৈতিক হিংসাতে কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন রাজ্যে ৷ ফল ঘোষণার পরে প্রায় ৩৭ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন রাজ্য় বিজেপি সভাপতি ৷ একই রকম ভাবে খুন করে বিজেপি কর্মীদের গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি ৷ এদিন অনিল বর্মন নামে এক বিজেপি কর্মীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ মৃত ব্যক্তি সক্রিয় কর্মী ছিল বলে তাকে খুন করা হয়েছে ৷ পুলিশ তাকে আত্মহত্যা বলে দেখানোর চেষ্টা করছে ৷ ভয়ের পরিবেশ তৈরী করা হচ্ছে রাজ্যে। এই রাজ্যে যাতে কেউ বিজেপি না করে সেইজন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক হিংসা হ্রাস টানতে চাইছেন না বলেও অভিযোগ করেন তিনি ৷ গুন্ডারা এখানে যা ইচ্ছে করছেন ৷ হয় মুখ্যমন্ত্রী এটা চাইছেন, না হলে ওনার হাতে এসবের কোনো নিয়ন্ত্রন নেই ৷ আসলে ভয়ের পরিবেশ তৈরী করা হচ্ছে মিউনিসিপালিটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য৷ সামনের নির্বাচনে যাতে কেউ বিজেপি করতে না পারে তার জন্য পরিকল্পিত সন্ত্রাস তৈরী করা হচ্ছে ৷
এদিন দিলীপ ঘোষ প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক না করা বিষয়েও কটাক্ষ করেছেন ৷ দিলিপ ঘোষ বলেন- মুখ্যমন্ত্রীর মান সম্মান বোধ থাকলে বাকিদের সম্মানের কথা ভাবা উচিত ছিল ৷ উনি আজকে বলেছেন -অপমান করবেন না , প্রধান মন্ত্রীর পা- ধরছি, একটা সময় উনি প্রধানমন্ত্রীর কোমরে দড়ি বাঁধতে চেয়েছিলেন ৷ প্রধান মন্ত্রী ওনার রাজ্যে এসেছেন, উনি দেরিতে তার কাছে গিয়ে একটা কাগজ দিয়ে চলে এসেছেন ৷ প্রধান মন্ত্রী কোনো রাজ্যে গেলে তার সাথে কি ব্যাবহার করা উচিত সেটা নবীন পট্টনায়েককে দেখে শেখা উচিত ৷ নবীন পট্টনায়েক কোনো টাকা চাইছেন না, মমতা বন্দোপাধ্যায় মোটা টাকা চেয়ে গন্ডগোল করছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের সম্মান বোধ নেই ৷ রাজ্যে সাড়ে ছয় হাজার বিভিন্ন সন্ত্রাশের অভিযোগ জমা করেছি ৷ কোনো পদক্ষেপ নেয় নি উনি ৷