সংক্ষিপ্ত
- জলপাইগুড়ির পর কোচবিহারে সভা মমতার
- রাসমেলা ময়দান থেকে বিজেপি তোপ
- বিজেপি ও আরএসএসকে একযোগে আক্রমণ
- আদিবাসী ও রাজবংশীদের জন্য কী বার্তা মমতার?
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছিল বিজেপি। অপ্রত্যাশিত ভাবে কোচবিহার জেলাতেও বিজেপির ধাক্কায় মুখ পুড়েছিল তৃণমূলের। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গে মাটিতে ঘাসফুল শিবিরকে নতুন করে শক্ত করতে তৎপর তৃণমূল নেত্রী। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে সভা করার পরের দিনই কোচবিহারে সভা করলেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে বিজেপি ও আরএসএসকে একযোগে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ''কোচবিহারে আদিবাসী ভোটকে টার্গেট করেছে বিজেপি। তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল বিরোধী প্রচার করছে আরএসএস''।আরএসএসকে বহিরাগত গুন্ডা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, ''জাতপাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না তৃণমূল। কে রাজবংশী, কে আদিবাসী। দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী সবার কাছেই উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছে তৃণমূল সরকার''। পাশাপাশি, ভোটের সময় বিজেপির প্রতিশ্রুতি নিয়েও কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, '' কতগুলো প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে বিজেপি? কতজনের চাকরি দিয়েছে? বিজেপি ভাঁওতাবাজ, দাঙ্গাবাজের দল। লোকসভায় আপনারা আমাকে ভোট দেননি। আমার দুঃখ নেই। কিন্তু বিধানসভা ভোটে আপনাদের ভোট আমার চাই''।
অন্যদিকে, দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের নিয়ে তিনি বলেন, ''দলের অনেকে এদিক-ওদিক চলে যাচ্ছে। তার জন্য দলের নীতি বদলে যায় না। যাঁরা সমাজকল্যাণে কাজ করেনি। তাঁরা টিকিট পাবে না বলেই অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বিজেপি বলে কোথায় থাকবে ? ঘরে না জেলে?। তাতে ভয় পেয়ে যাচ্ছে অনেকে। কিন্তু আমি ভয় পায় না। আমার রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে দিল্লি থেকে ফোন করে বলছে, আপনার সঙ্গে একটু বসব। দিল্লি থেকে অনুব্রতর কাছেও ফোন গিয়েছিল''।