সংক্ষিপ্ত
"তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকার, বিশেষ করে রাজ্যের লেডি কিম, পশ্চিমবঙ্গকে উত্তর কোরিয়াতে পরিণত করেছেন। গোটা রাজ্যের যতরকমের পুলিশ আছে, সিভিক পুলিশ, প্রশিক্ষণে থাকা পুলিশ, সবাইকে রাস্তায় নামিয়েছেন।"
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘লেডি কিম’ বলে সম্বোধন করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন গ্রেফতারির পর লালবাজার থেকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, ‘কোনও উস্কানি ছাড়াই মিছিল করছিল বিজেপি। কোথাও থেকে কোনও অশান্তির খবর ছিল না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ জোর করে বিভিন্ন জায়গা মিছিল আটকায়। জবরদস্তি করে কর্মীদের সঙ্গে। আমার গায়ে হাত দেয়। সাদা পোশাকের পুলিশ ছিল। তাও মহিলা। রীতিমত ধাক্কাধাক্কি করছিলেন তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেস এবং সরকার, বিশেষ করে রাজ্যের লেডি কিম, পশ্চিমবঙ্গকে উত্তর কোরিয়াতে পরিণত করেছেন। গোটা রাজ্যের যতরকমের পুলিশ আছে, সিভিক পুলিশ, প্রশিক্ষণে থাকা পুলিশ, সবাইকে রাস্তায় নামিয়েছেন।’
দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল আটকায় পুলিশ। নবান্ন অভিযানের মিছিলে যাওয়ার আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেওয়া হয় পিটিএস-এর সামনে। সেখানেই দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা। তাঁর প্রথম প্রশ্ন ছিল কেন তাঁকে যেতে দেওয়া হবে না। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন আইন অনুযায়ী কোনও সাংসদকে এভাবে রাস্তায় আটকে দেওয়া যায় না। তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশ কর্মীরা কথা বলতে এলে তিনি তাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন না। পুলিশের যে বড়কর্তা রয়েছে তাঁকে ডাকতে। কিন্তু এরই মধ্যে পুলিশ কর্মীরা ঘিরে ফেলে শুভেন্দুকে। স্টিলের ব্যারিকেডে পিঠ ঠেকে যায় শুভেন্দু।
তিনি সরাসরি মহিলা পুলিশদের উদ্দেশ্যে বলেন তাঁরা যেন তাঁকে 'টাচ' না করেন। শুভেন্দু অধিকারী মহিলা পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন , ' আমি পুরুষ আমপি মহিলা। আমপি আমার গায়ে হাত দিতে পারবেন না।' এখানেই শেষ নয়। সেই সময়ই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দক্ষিণ কলকাতার ডেপুটি কমিশনার আকাশ মাঘারিয়া তাঁর কাছে আসেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু বলেন,'এখানে সব মহিলা পুলিশ কর্মী, তাঁরা আমার গায়ে হাত দিয়েছেন। এটা তারা করতে পারে না। আমি আপনাদের বিরুদ্ধে আদালতে যাব।' এর উত্তরে আকাশ মেঘারিয়া বলেন, 'স্যার আমাদের বাহিনীতে মহিলা-পুরুষ কোনও ভাগ হয় না। '
এই কথা কাটাকাটির মধ্যেই শুভেন্দু জানতে তাঁকে ও তাঁর দলের কর্মীদের কেন আটকানো হচ্ছে। সেই সময়ই তিনি প্রস্তাব দেন সাংসদ লকেট ও তাঁকে যেন বাইকে করে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপর তাঁরা ট্রেনে করে সাঁতরাগাছি চলে যাবেন। শুভেন্দুর এই আর্জিতে রাজি হয়নি পুলিশ। পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে, সেখানেই ফেসবুক লাইভ করে দলী. কর্মীদের উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন লকেট।