সংক্ষিপ্ত
- ডিএ মামলায় হার রাজ্যের
- আগের অবস্থানেই অনড় মুখ্যমন্ত্রী
- সরকারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
- সরকার কর্মচারীদের ১২৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছে, দাবি মমতার
ডিএ মামলায় শুক্রবারই আদালতে হার হয়েছে রাজ্য সরকারের। তার পরেও আগের অবস্থানেই অনড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর চব্বিশ পরগণার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দিলেন, 'যা চাইব, তাই পাব, সেটা বললেই কিন্তু হবে না।'
এ দিন ডিএ নিয়ে মামলায় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া যায় কি না, তা রাজ্যকে বিবেচনা করতে হবে। একই সঙ্গে সর্বভারতীয় মূল্য সূচকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কেন্দ্র যেভাবে কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেয়, সেই একই পদ্ধতি মেনে রাজ্যকেও মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে স্যাট। এক বছরের মধ্যে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্দিষ্ট ডিএ নীতি তৈরি করা, বছরে দু' বার ডিএ দেওয়ার নির্দেশও স্যাট দিয়েছে বলে খবর। তিন মাসের মধ্যে এই ডিএ নীতি তৈরি করতে হবে রাজ্যকে। অন্যান্য রাজ্যে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া যাবে না বলেও এ দিন নির্দেশ দিয়েছে স্যাট।
আরও পড়ুন- ডিএ মামলায় স্যাটে বড় ধাক্কা রাজ্যের, কেন্দ্রের নিয়মেই দিতে হবে মহার্ঘ ভাতা
এ দিন মধ্যমগ্রামের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আট বছর আগে এক তারিখে মাইনে পাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আমরা ক্ষমতায় আসার পরে এক তারিখে বেতন এবং পেনশশনের ব্যবস্থা চালু করেছি। সরকারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। বছরে ৫৬ হাজার কোটি টাকা দেনা শোধ করতে হয়। মনে রাখবেন তার মধ্যেও আমাদের সরকারই ১২৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছে। এত হাজার, হাজার, লক্ষ, লক্ষ কর্মচারী। এত টাকা কোথায়? ছিল তো চৌত্রিশ বছরের সরকার, এতদিন দেওয়া হয়নি কেন? যা চাইব তা পাব, সেটা বললেই কিন্তু হবে না।'
স্যাটের নির্দেশের বিরুদ্ধে যে রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করবে, তা একরকম নিশ্চিত। রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনও জানিয়েছে, রাজ্য উচ্চ আদালতে গেলে আইনি লড়াইয়ের জন্য তাঁরাও তৈরি।