সংক্ষিপ্ত
রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বক্তৃতা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বক্তৃতা করতে গিয়ে সরাসরি বলেন, নন্দীগ্রামে তাঁর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁকে হারাতে সমঝোতা করা হয়েছিল, বলে তিনি দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, সেই ষড়যন্ত্রকারীদের উচিত এখন মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।’
ফের খবরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banrjee)। তাঁর সঙ্গে হওয়া অন্যায় নিয়ে প্রতিবাদ মুখ্যমন্ত্রীর। বললেন, ‘আমাকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছিল।’ রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বলতে উঠে এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। বুধবার ছিল বিধাসভায় বাজেট অধিবেশন। সেখানে রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বক্তৃতা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের ভাষণের ওপর বক্তৃতা করতে গিয়ে সরাসরি বলেন, নন্দীগ্রামে তাঁর প্রাণ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁকে হারাতে সমঝোতা করা হয়েছিল, বলে তিনি দাবি তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, সেই ষড়যন্ত্রকারীদের উচিত এখন মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।’
এদিকে, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাস্ত হন তিনি। ১,৯৫৬ ভোটে পরাজিন হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ফলাফল নিয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছে তৃণমূল। বুধবার সেই কথা আবারও একবার শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায়।
এদিকে আবার রাজ্যপালের বক্তৃতার সময় গণ্ডগোল করার অভিযোগ ওঠে দুই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। তারা হলেন মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়, এদের দুদনে সাসপেন্ড করা হয়। এতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজেপি শিবিরে। সে কারণে তারা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় বিক্ষোভ দেখায় বলে খবর। সঙ্গে তারাও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম কান্ড নিয়ে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Subhendu Adhikary) বলেন, আসলে নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা মুখ্যমন্ত্রী ভুলতে পারছেন না। তিনি বলেন, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে শুনতে হয়েছে, তিনি নন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী। সেই কষ্ট থেকেই বার বার এ কথা বলছে। যদি নন্দীগ্রাম নিয়ে ওর কোনও অভিযোগ থাকে আর কেউ ষড়যন্ত্র করে থাকে, তাহলে তিনি তাঁর প্রশাসনকে দিয়েই তার তদন্ত করে দেখান।
এদিকে আবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে নিজের উন্নয়ন থেকে তৃণমূল নেত্রী বেশি চিন্তিত NIA, CBI, ED নিয়ে। তাঁর আশেপাশে যারা ঘোরেন বা পরিবার, প্রতিবেশীদের নিয়ে চিন্তিত।’
সে যাই হোক, নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে এখনও জলঘোলা হয়েছে। অনেকের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সত্যি হলে, কেন এতদিন বলেলনি। কেউ কেউ বলেছেন, মুখ্যমন্ত্ররী নিরাপত্তায় এত বড় গাফলতি কেন। কে গুলি চালাল, তা খুঁজে বের করতে পুলিশ কেন সোচ্চার হয়নি সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- শ্রাবন্তীকে চালাক বলে কটাক্ষ, তিনি যা পাওয়ার পেয়েছেন, বলে টুইট তথাগত রায়ের
আরও পড়ুন- চিটফান্ডের পর কি টাকা লুট করবে সমবায় ব্যাঙ্ক, পোস্টার দেখে আতঙ্কে যৌনকর্মীরা
আরও পড়ুন- বাবাকে থাকতে দিলেও খেতে দেবেন না, বিবাদী পক্ষের এমন কথা শুনে তাজ্জব বিচারপতি