সংক্ষিপ্ত
চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পর বক্তব্য রাখেন মমতা। তিনি বলেন, "তৃণমূল তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। অনেক ঝড়, বাধা অতিক্রম করে, সুখ দুঃখ সব কিছু অতিক্রম করে। আজ এই জায়গায় তৃণমূল এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলায় তৃণমূলের উত্থান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস ছিল।"
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের চেয়ারপার্সন (TMC Chairperson) হিসেবে নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূল (TMC) সূত্রে খবর, সাংগঠনিক নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে বিজেপি (BJP) ছাড়া বাকি সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অবশ্য এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন না বিমান বসু (Biman Basu) ও প্রদীপ ভট্টাচার্য (Pradip Bhattacharje)।
চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পর বক্তব্য রাখেন মমতা। তিনি বলেন, "তৃণমূল তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। অনেক ঝড়, বাধা অতিক্রম করে, সুখ দুঃখ সব কিছু অতিক্রম করে। আজ এই জায়গায় তৃণমূল এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলায় তৃণমূলের উত্থান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। পরে আমরা দেখি দেশের অনেক জায়গায় ইউনিট তৈরি হচ্ছিল। তারপর সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নাম বদলে দিই। কংগ্রেস (Congress) যতদিন চলেছে ওদের পরম্পরা, ইউপিকে বেস করে, পণ্ডিত নেহরু। বিজেপির গুজরাত থেকে চলছে। আমাদের ওরিজিনাল জায়গা বেঙ্গল। সবাইকে পর্যবেক্ষক করে ডাকতে পারিনি, শীঘ্রই দেখা করব। আপনারা দলটাকে মজবুত করে গড়ে তুলুন। বলুন, আগলে রাখব রাজ্যে দলটাকে। আপনি বিজেপিকে ভারত থেকে হঠান। ২০১৬ সালে কমিশনের স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা জাতীয় দল এখন।"
আরও পড়ুন- 'একটা ঘোড়ার পালকে পাঠিয়েছে রাজ্যে শাসন করতে', ফের রাজ্যপালকে নিশানা মমতার
এদিন কংগ্রেসকে নিশানা করতে ছাড়েননি মমতা। তিনি বলেন, "কংগ্রেস মেঘালয়, চণ্ডীগড়ে বিজেপি-র হয়ে ভোট করে দেয়। আমরা চেয়েছিলাম বিজেপি বিরোধীরা এক জায়গায় আসুক। কিন্তু অহঙ্কার করে যদি কেউ বসে থাকে, তাহলে একলা চলো। একটি একটি করে ফুল গাঁথতে গাঁথতে গোটা মালা তৈরি করে নেব আমি।" এছাড়া দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "তৃণমূল করতে গেলে যে রাজ্যে যারা বিশিষ্ট, ভারত সম্পর্কে জানা দরকার, রাজ্য সম্পর্কেও জানতে হবে। তৃণমূল সম্পর্কেও জানতে হবে। আমি প্রত্যেকটা ঘটনা বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি।"
আরও পড়ুন- অসুস্থ অনুব্রত, ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে
কোন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে এদিন ফের মমতা বলেন, "গতকাল একটা বাজেট (Budget 2022) হল। বিজেপিকে দেখলে মনে হয়, চু কিতকিত দল। মানুষ চাল চায়, ডাল চায়, হিরে নয়। হিরের ঝোল, চচ্চরি, তরকারি বানাবে? আর নিজেরা হিরের ঘণ্ট খেয়ে বসে থাকবে!"
আরও পড়ুন- বাজেটে বাংলার ভাগ্যে জুটল কী, কতটা পালন হয়েছে প্রতিশ্রুতি
বিজেপি বাংলার নামে মিথ্যা প্রচার করে বলে অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, "এক দল ঘোড়ার পালকে রাজ্যশাসন করতে পাঠিয়েছে। এখন আবার ঘোড়ার পাল ঘোড়ার পালের সঙ্গেই লড়ছে।" রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সংঘাত নিয়েও মুখ খোলেন মমতা। বলেন, "বাংলায় গণতন্ত্র নেই, আইন নেই বলে আক্রমণ করছেন, আবার আমাকেই ট্যাগ করছেন। মা ক্যান্টিনের হিসেব চাইছেন, বলছেন ওঁর নির্দেশ মেনে চলতে হবে। রাজভবন থেকে দূরবীণ দিয়ে বাংলায় খুন, হিংসা দেখছেন বোধহয়। জীবনে নির্বাচনী প্রতিনিধি হননি, বার বার দলবদল করেছেন।" এই সাংগঠনিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে হাজির ছিলেন সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরাও।