সংক্ষিপ্ত
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। সেখানে ফের বিনা প্রতিদ্বন্দিতাতে চেয়ারপার্সন হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। সেই সময় রাজ্যপালকেও আক্রমণ করেন তিনি।
কয়েকদিন আগেই কথা না বলে দেখা গিয়েছিল মুখ ঘুরিয়ে থাকতে। তারপর ব্লক (Blocked in Twiitter) করেছিলেন টুইটারে। আর তৃণমূল চেয়ারপার্সন হওয়ার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Jagdeep Dhankhar) চরম কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সংঘাত বজায় রেখে বললেন, "আর এখানে দিয়েছে একটা ঘোড়ার পাল।"
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। সেখানে ফের বিনা প্রতিদ্বন্দিতাতে চেয়ারপার্সন (TMC Chairperson) হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীদের জোটবদ্ধ হওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপিকে (BJP) কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। সেই সময় রাজ্যপালকেও আক্রমণ করেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, "বিজেপি বাংলার নামে নেতিবাচক প্রচার করছে। বাংলাদেশের ছবি দিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে বিজেপি। আর এখানে দিয়েছে একটা ঘোড়ার পাল। একদল ঘোড়ার পালকে, রাজ্য শাসন করতে পাঠিয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি আমি একটা ঘোড়াকে দেখছিলাম। ২৬ জানুয়ারি আমি একটা ঘোড়াকে দেখেছিলাম, মাউন্টেড পুলিশ, যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, তারাও জানতে পেরে গেল, ঘোড়ার পাল আছে। আমরা তো শিখিয়ে দিইনি। এই না বলে বসে তৃণমূল কংগ্রেস শিখিয়ে দিয়েছে। আজকে তারাও রেজিস্ট করছে। ঘোড়ার পাল ঘোড়ার পালদের রেজিস্ট করছে।"
আরও পড়ুন- 'কেউ অহঙ্কার করে থাকলে একলাই চলো', ফের চেয়ারপার্সন হওয়ার পর কংগ্রেসকে নিশানা মমতার
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "সকাল নেই সন্ধ্যা নেই, শুধু আমাকে গালাগাল দিয়ে বেরাচ্ছেন। আমাকে গালাগাল দিয়ে আমার অফিসিয়াল টুইটারেই পাঠিয়ে দিচ্ছে। দেড় বছর ধরে সহ্য করেছি। বাংলায় গণতন্ত্র নেই, বাংলার শান্তি নেই। বাংলায় শুধু খুন, বাংলায় শুধু নারী নির্যাতন, বাংলায় শুধু হিংসা ! উনি ঘরে বসে দূরবিন দিয়ে দেখছেন। জিজ্ঞাসা করুন, ইউপিতে কী হচ্ছে, একটু দেখেছেন? দিল্লিতে কী হচ্ছে, ত্রিপুরা-গুজরাটে কী হচ্ছে দেখেছেন? দেখার চেষ্টা করেছেন? আমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে? মা ক্যান্টিনে ৫ টাকায় গরিবদের ডিম-ভাত খাওয়াই। তাও বলছে কী করে হবে? কেন হবে? কে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরে! মুখ দিয়ে অনেক কিছুই বেরিয়ে যায় সামলে নিই।"
আরও পড়ুন- অসুস্থ অনুব্রত, ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে
রাজ্যপাল যে জিতে আসেন না সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, "উনি বলেন, আমার ইনস্ট্রাকশন ফলো করতে হবে। একটা কাউন্সিলরও তো জীবনে হও নাই। একটা ইলেকটেড কাউন্সিলর হলেও জীবনে বুঝতাম! রাজনীতিতে দশবার দল বদল করেছ। দলবদলু সব। আর আজকে বলে বেরাচ্ছে দেখ লেঙ্গে! ইউ ক্যান নট কল অ্যা অফিসার উইথ আউট দ্য পারমিশন অফ চিফ মিনিস্টার। দিস ইজ কলড ডেমোক্রেসি।" আমলাদের তলব প্রসঙ্গে বলেন, "পুলিশ কমিশনারকে বলছে সকাল ১০টায় এসে দেখা কর। চিফ সেক্রেটারিকে বলছে ১১টায় এসে দেখা কর। হোম সেক্রেটারিকে বলছে ১২টায় এসে দেখা কর। লিগ্যাল ওঁ কত জানেন! আর্টিক্যাল ১১৯!”
আরও পড়ুন- বাজেটে বাংলার ভাগ্যে জুটল কী, কতটা পালন হয়েছে প্রতিশ্রুতি
৩১জানুয়ারি নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় মমতা জানিয়েছিলেন যে 'বিরক্ত' হয়ে তিনি টুইটার থেকে ব্লক করে দিয়েছেন রাজ্যপালকে। বলেছিলেন, "বাধ্য হয়েছি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যপালকে ব্লক করতে। এর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বারবার প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, কোনও লাভ হয়নি। নিজেকে কী ভাবেন রাজ্যপাল, সুপার পাহারাদার রাজ্যপাল!"