সংক্ষিপ্ত

  • একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতার বার্তা
  • দলীয় কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ফেরানোর চেষ্টা
  • দল ছিল, আছে, থাকবে, বললেন তৃণমূল নেত্রী
     

তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই নাকি ভবিষ্যতে থাকবে না। সর্বভারতীয় তকমাও নাকি উঠে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। মুকুল রায়-সহ বিজেপি নেতারা এভাবেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এ দিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বার বার তৃণমূলনেত্রী দলীয় কর্মীদের অভয় দেওয়ার চেষ্টা করে বললেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, আছে, থাকবে।' উল্টে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসা মোদী সরকারও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে না বলেও দাবি করলেন মমতা। 

লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি-র উত্থানের জেরে তৃণমূলের অস্তিত্ব সংকটের দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। দলের মধ্যেও ভাঙন তৈরি হয়েছে। মুকুল রায়ের মতো নেতারা বার বার বলছেন, তৃণমূলের অসংখ্য বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দিতে তৈরি। 

আরও পড়ুন- একুশের মঞ্চে কাটমানির ড্যামেজ কন্ট্রোল, পাল্টা ব্ল্যাক মানি আন্দোলনের নির্দেশ মমতার

এই অবস্থায় নিজের ভাষণে দলের নেতা, কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাই ছিল মমতার মূল লক্ষ্য। তিনি দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী অনেক আসনেই বিজেপি তিন থেকে পাঁচ হাজার ভোটে জিতেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সেই সমস্ত আসনেই ফল উল্টে যাবে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেত্রী। 

তৃণমূল নেত্রী এ দিন বার বার মনে করিয়ে দেন, এবারেও রাজ্যে ২২টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ১৮টি আসন। সেই নিরিখে এখনও তৃণমূল এগিয়ে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ২৬টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু তখনও রাজ্যে ক্ষমতা দখলের দাবি করেনি তৃণমূল।

আরও পড়ুন- আমাদের কালী-শিব আছে! বিজেপি ওদের দেবতা চাপিয়ে দিতে চাইছে, মমতার তোপ গেরুয়া বাহিনীকে

তৃণমূলনেত্রী এ দিন বলেন, 'অনেকে বলছেন তৃণমূলের প্রদীপ নাকি নিভে গিয়েছে। কিন্তু তা নেভেনি, বিজেপি-র এই আস্ফালনে উল্টে আরও দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে। আপনারা কেউ কোনও চিন্তা করবেন না। তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, আছে, থাকবে।'

দলের সর্বভারতীয় তকমা চলে গেলেও তিনি যে তিনি খুব একটা উদ্বিগ্ন নন, তাও বোঝানোর চেষ্টা করেন মমতা। তিনি বলেন, 'আমি আঞ্চলিক দল থেকে জাতীয় দলের তকমা আদায় করেছি। জাতীয় স্তর কেন, আন্তর্জাতিক স্তরেও স্বীকৃতি আদায় করেছি। তোমরা জাতীয় দলের তকমা রাখলে না নিলে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।'

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আরও দাবি করেন তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। তাঁর প্রশ্ন, 'গোষ্ঠীকোন্দল থাকলে কি এত লোক এখানে আসত?' তবে দলের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল যে অন্যতম সমস্যা, তা অবশ্য নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, কেউ না ডাকলেও দলীয় কর্মীরা যেন মান- অভিমান ভুলে দলের কর্মসূচিতে যোগ দেন।