সংক্ষিপ্ত
আজ বিকেলে কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন মমতা। এই অনুষ্ঠানে তিনিই হলেন প্রধান বক্তা। তবে যুব সভাপতি থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওঠা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন ভাষণ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতিবছর এই দিনটি ধুমধাম করে পালন করা হয়। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর এই দিনটি ধুমধাম করে পাল করতে পারেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবারও তার অন্যথা হবে না। বিকেলে কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল ভাষণ দেবেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে তিনিই হলেন প্রধান বক্তা। তবে যুব সভাপতি থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওঠা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন ভাষণ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠান মেটার পরই প্রতিবছর ২৮ অগাস্টের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। চারিপাশে তখন সাজোসাজো রব থাকে। কংগ্রেস ভেঙে নতুন দল গড়লেও মমতা এই দিনটিকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করেন। প্রতি বছর ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির কাছে ছাত্র সমাবেশ হয়। অনুষ্ঠান কীভাবে হবে, কোথাও স্ক্রিন লাগানো হবে কিনা তার রূপরেখা তৈরি হয়ে যায় ২১ জুলাইয়ের পর থেকেই। কিন্তু, গত বছর থেকেই সে সব আর কিছুই সম্ভব হয় না। করোনার প্রভাবে সবই এখন বড়ই ফিকে হয়ে গিয়েছে। তাই এখন ভার্চুয়াল মাধ্যমই একমাত্র ভরসা। আর সেখান থেকেই বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজও তাই রাখবেন তিনি।
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই কি ঘর ওয়াপসি রাজীবের, বাড়ছে জল্পনা
সাধারণত ২৮ অগাস্টের ভাষণে ছাত্র ও যুব সমাজকে রাজনীতি, সমাজ বোধ, নেতৃত্বের পাঠ দেন মমতা। পাশাপাশি রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতির নানা দিক নিয়েও বক্তব্য রাখেন তিনি। আজকের ভাষণে দলের নবীন প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের অগ্রাধিকার দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর। নবীন প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের আশ্বাসও দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য তিনি ঠিক কী কী করেছেন সেই কথাও জানাতে পারেন তিনি। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর নার্স ও চিকিৎসকদের জন্য ঢালাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের জন্য ফ্রিতে জমি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। আর এবার শিক্ষাক্ষেত্রে তিনি কোনও ঘোষণা করেন কিনা সেটাই দেখার।
বাংলায় ক্ষমতায় আশার পর তৃণমূলের এখন লক্ষ্য ত্রিপুরা। ২০২৩ সালে র বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেখানে নিজেদের জমি শক্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। আর সেই কারণে মাঝে মধ্যেই তৃণমূলের নেতাদের যাতায়াত লেগে রয়েছে সেখানে। আজ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে সেখানেও আয়োজন করা হয়েছে। একাধিক কলেজে লাগানো হয়েছে জায়েন্ট স্ক্রিন। তার মাধ্যমেই সেখানে সম্প্রচারিত হবে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য। দেশের বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পড়ুয়াদের ভূমিকাও ব্যাখ্যা করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।