সংক্ষিপ্ত

নেতাজি জয়ন্তীতে মমতার করা মন্তব্য নিয়েই চাঁচাছোল ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রবিবার দিনভর দেশবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে দেখা যায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের। শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও। এমতাবস্থায় এবার নেতাজি জয়ন্তীতে মমতার করা মন্তব্য নিয়েই চাঁচাছোল ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (State Opposition Leader Shuvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী (125th Birth Anniversary of Netaji Subhas Chandra Bose) উপলক্ষে তাঁকে স্মরণ করে ভাষণ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেই ভাষণে ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি তুলেছেন শুভেন্দু। যা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

অন্যদিকে এদিন শুরুতেই নেতাজি ট্যাবলো নিয়েও তৃণমূলকে খোঁচা দেন শুভেন্দু।কার্যত কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা কীভাবে জানাতে হয় তা মোদীজি দেখিয়ে দিয়েছেন। ” পশ্চিমবঙ্গের নেতাজি ট্যাবলো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নেতাজির ট্যাবলো হচ্ছে। সবই হচ্ছে। তবে সেই ট্যাবলোতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বড় ছবি থাকছে না।” এ দিন নেতাজি জন্মজয়ন্তী উদযাপনে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরাকে স্মরণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অংশের ভিডিয়ো টুইট করেছেন শুভেন্দু। ।া নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। এদিকে ওই ভিডিওতে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে , “মাতঙ্গিনী হাজারার একটা ছোট্ট ঘটনা বলি। কাঁথিতে একটা ব্রিজ আছে। দিঘার কাছাকাছি। ব্রিজের নাম পিছাবনি। কেন পিছাবনি হয়েছিল জানেন? ইংরেজরা গুলি ছুড়ছে। মাতঙ্গিনীর বুক ঝাঁঝরা হয়ে গেল। কিন্তু মাতঙ্গিনী সরে গেলেন না। তাঁরা আরও এগিয়ে গেলেন। সেই জন্য ব্রিজটির নাম স্থানীয় ভাষায় হয়েছিল পিছাবনি ব্রিজ। এই সব ঘটনাগুলি আমাদের মনে রাখতে হবে।”

আরও পড়ুন-দল বিরোধী কার্য-কলাপের জের, জয়প্রকাশ-রীতেশকে শো-কজ নোটিশ রাজ্য বিজেপির

আরও পড়ুন-সত্যিই কি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির, আজও রয়েছে রহস্য

এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি ইতিহাস বিবৃত করছেন মমতা। এই প্রসঙ্গে একটি টুইটও করতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে তিনি লেখেন, “১৯৪২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তমলুকের বানপুকুরে মারা যান মাতঙ্গিনী হাজরা। তমলুক থানা দখল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিবর্ষণের মুখে পড়েছিলেন। কম্পার্টমেন্টার সিএম কি একবারেই ইতিহাস পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন? নাকি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাল্পনিক চরিত্র ভাবেন? ” শুভেন্দুর এই টুইট নিয়েই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃমমূলের তরফে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন-ভারতীয় সেনায় চাই বাঙালি রেজিমেন্ট, নেতাজির জন্মদিনেই মোদীকে চিঠি বাংলা পক্ষের