সংক্ষিপ্ত
- শাশুড়ির 'অত্যাচারে' আত্মঘাতী গৃহবধূ
- বদলা নিতে মা-কে খুন যুবকের
- সে নিজেই থানায় আত্মসমপর্ণও করেছে
- কুমারগঞ্জের ঘটনা
আরও পড়ুন: শুশুনিয়ার পর জয়চণ্ডী পাহাড়ে আগুন, নেপথ্যে কারা, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
অভিযুক্তের নাম লক্ষ্মীরাম হেমব্রম। কুমারগঞ্জে সাফানগরের ক্রিশ্চিয়ান চার্চ লাগোয়া আদিবাসী গ্রামে থাকে সে। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ভরা সংসার ছিল লক্ষ্মীরামের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাস খানেক আগে বাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে আদিবাসী ওই যুবকের স্ত্রী। অভিযোগ, সেই ঘটনার বদলা নিতে রবিরাতে রাতে মা লক্ষ্মী মার্ডি বল্লম দিয়ে কুপিয়ে করে লক্ষ্মীরাম। এরপর দড়ি দিয়ে বেঁধে দেহটি টেনে নিয়ে যায় স্থানীয় আত্রেয়ীর নদীর তীরে। রাতভর নদীর পাড়ের দেহটি পড়েছিল। সোমবার সকালে কুমারগঞ্জ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে মৃতা ছেলে। তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: ঘরেতে টনটনে অভাব, তবু বন্ধ চটকলের জন্য় ছবি এঁকে টাকা তুলছেন আর্ট কলেজের এই প্রাক্তনী
কেন এমন কান্ড ঘটাল লক্ষ্মীরাম? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত নিজের বয়ানে জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে স্ত্রী নাকি জানিয়ে গিয়েছিলেন, শাশুড়ির অত্যাচারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। সেই আক্রোশেই মা-কে খুন করেছে লক্ষ্মীরাম। ঘটনায় কার্যত হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সত্যিই কি স্ত্রী মৃত্যুর বদলা নিতেই খুন নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।