সংক্ষিপ্ত
- হুগলির আরামবাগের ঘটনা
- জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুরের নাক খুবলে নেওয়ার অভিযোগ
- ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত
- জামাইয়ের বাবাকেও গ্রেফতার করল পুলিশ
কামড়ে শ্বশুরের নাক খুবলে নিল জামাই। এমনই অভিযোগে জামাই ও তার বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে কলকাতা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃত জামাইয়ের নাম সাহেব দাস। তার বাবার নাম শংকর দাস।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় আট মাস আগে সাহেবের সঙ্গে বিয়ে হয় আরামবাগ পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিকাশরঞ্জন বেরার মেয়ে মউ-এর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মউ-এর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। ওই তরুণীকে নানা কারণে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সন্দেহ করত বলে অভিযোগ। এই নিয়ে মউ-এর সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির গন্ডগোল লেগেই থাকত।
ওই তরুণীর পরিবারের দাবি অনুযায়ী, গত বছর ৫ ডিসেম্বর স্বামী সাহেবের সঙ্গে খানাকুলের চন্দ্রবান এলাকায় আত্মীয়র বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল মউ। অভিযোগ, ওই দিন রাতে সাহেব তার স্ত্রীকে নাচতে বলে। কিন্তু স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তীব্র অশান্তি হয়। পরদিন সাহেব স্ত্রীকে সেখানে রেখেই বাড়ি ফিরে আসে।
এর পর মউ-এর মা সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে দিতে যান। অভিযোগ, তখন সাহেব স্ত্রী ও শাশুড়িকে মারধর করে। গন্ডগোলের খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান বিকাশবাবু। অভিযোগ, তখন তাঁর উপরেও চড়াও হয় অভিযুক্ত সাহেব দাস। তখনই কামড়ে বিকাশবাবুর নাকের একাংশ খুবলে নেয় সে।
গুরুতর জখম বিকাশবাবুকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকাশবাবুর মেয়ে মউ আরামবাগ থানায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেওরের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ মউ-এর স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করে। যদিও সাহেবের দাবি, মারধরের অভিযোগ মিথ্যে। বরং তাদেরকেই মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সাহেবের। মিথ্যা অভিযোগ করে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছে সাহেব।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্ত সাহেব এবং তার পরিবার। শনিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতার বউবাজার থেকে সাহেব এবং তার বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।