সংক্ষিপ্ত

  • বহু চেষ্টা করেও চাকরি পাননি
  • বেকারত্ব ঘোচাতে চায়ের দোকান খুলেছিলেন এক যুবক
  • রোজগার আশানুরূপ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন তিনি
  • ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়

বহু চেষ্টা করেও চাকরি জোটাতে পারেননি, তবে বেকারও ছিলেন না। স্রেফ রোজগার আশানুরূপ না হওয়ার মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। 

মৃত যুবকের নাম বিশ্বরূপ ঘোষ। নাকাশিপাড়া থানার বেথুয়াডহরি এলাকায় মায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি।  পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে দীর্ঘক্ষণ বিশ্বরূপের ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। সন্দেহ হয় তাঁদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। দরজা ভেঙে যখন ঘরে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা, তখন দেখা যায়, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন বিশ্বরূপ।  নিয়মাফিক মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, রাতে নিজের ঘরে একাই ছিলেন বিশ্বরূপ। তাই তিনি যে আত্মহত্যা করেছেন, প্রাথমিক তদন্তে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই পুলিশের।  কিন্তু কেন আত্মহত্যা করলেন? স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, একসময়ে চাকরি জন্য বহু চেষ্টা করেছেন বিশ্বরূপ।  কিন্তু চাকরি পাননি। শেষপর্যন্ত বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকান খুলেছিলেন ওই যুবক। কিন্তু সেই দোকানটি ভাল চলত না। রোজগার আশানুরূপ হওয়ার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বিশ্বরূপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের, মানসিক অবসাদেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

বেকারত্বের জ্বালা ভীষণ... আর সেই জ্বালা সহ্য করতে না পেরে রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে।  উত্তর ২৪ পরগণার দেগঙ্গায় টাকার অভাবে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করাতে না নিজেকেই শেষ করে দিয়েছেন যুবক।  জানা গিয়েছে, সংসারের হাল ধরার জন্য ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মা অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরতে হয়।  মায়ের দেখাশোনা করতে গিয়ে কোথাও কাজও করতে পারছিলেন না তিনি।  বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল ওই যুবককে।