সংক্ষিপ্ত
- সপরিবারে ছেলেকেই পুড়িয়ে মারা চেষ্টা করল এক ব্যক্তি
- রেহাই পেল না দুই নাতনিও
- স্থানীয় তৎপরতায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন আক্রান্তরা
- অগ্নিদগ্ধ হয়ে চারজন ভর্তি হাসপাতালে
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের ভয়ঙ্কর পরিণতি। ছেলে, বউমা, এমনকী, দুই নাতনিকেও পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল এক ব্যক্তি! ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন চারজন। সকলেই ভর্তি হাসপাতালে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। অভিযুক্ত পলাতক।
গলসি থানার জংশন এলাকার ডাঙাপাড়া গ্রামে বাড়ি শেখ ইউসুফের। একসময়ে রেলে চাকরি করতেন তিনি। এখন অবসর নিয়েছেন। ইউসুফের ছেলে ইকবাল কাজের সুবাদে কলকাতায় থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সম্পত্তি ও জমিজমা নিয়ে বাবা ও ছেলের বিবাদ দীর্ঘদিনের। ইকবালকে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ইউসুফের। স্রেফ টাকা না দেওয়ার জন্য ইকবাল, তাঁর স্ত্রী তুহিনা বেগম ও তাঁদের দুই সন্তানকে পুড়িয়ে মারা ছক কষেছিলেন ইউসুফ!
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল কলকাতা থেকে গলসির ডাঙাপাড়া গ্রামের বাড়িতে ফেরেন ইকবাল। ছেলে ফেরার খবর পেয়ে বাজার থেকে ছোট একটি গ্যাসের সিলিন্ডার কিনে আনেন ইউসুফ। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর যখন স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন ইকবাল, তখন বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ইউসুফ সেই গ্যাস সিলিন্ডারের সাহায্যে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত চিৎকার শুনে দরজার তালা ভেঙে ইকবাল,তাঁর স্ত্রী তুহিনা ও দুই সন্তানকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু ততক্ষণে চারজনেরই শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে গিয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সকলেই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা দিয়েছে।
এদিকে এমন ভয়ানক ঘটনা ঘটানোর পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শেখ ইউসুফ। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সম্পত্তি ও জমিজমা নিয়ে ইউসুফের সঙ্গে তাঁর ছেলের বিবাদ দীর্ঘদিনের। তা নিয়ে পরিবারের অশান্তি লেগেই থাকত। তবে শেষপর্যন্ত যে ইউসুফ যে নিজের ছেলে, তাঁর স্ত্রী, এমনকী নাতনিদেরও মেরে ফেলার চেষ্টা করবে, তা ভাবতে পারেননি কেউ-ই। শেখ ইউসুফের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর শেখ ইকবালের শ্বশুরবাড়ি লোকেরা।