সংক্ষিপ্ত

সিপিএমের দাবি পূর্বসূরীদের পথই অনুসরণ করেছেন বুদ্ধদেব। মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার জ্যোতি বসুকে ভারতরত্ন সম্মান দিতে চেয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেন জ্যোতিবাবু। 

পদ্মভূষণ সম্মান (Padma Bhushan honor) ফিরিয়ে দিলেন (refused to take) বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। তবে ইতিহাস বলছে বুদ্ধদেব একা নন, এর আগেও একাধিকবার রাষ্ট্রের দেওয়া সম্মান ফিরিয়েছেন বহু কমিউনিস্ট নেতা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, সিপিএমের দাবি পূর্বসূরীদের পথই অনুসরণ করেছেন বুদ্ধদেব। মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার জ্যোতি বসুকে ভারতরত্ন সম্মান দিতে চেয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করেন জ্যোতিবাবু। 

এর আগে কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত ইএমএস নাম্বুদ্রিপাদ প্রথম প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পদ্মভূষণ সম্মান। সিপিএমের তরফে দাবি কমিউনিস্টরা দেশে রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের জন্য কোনও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বা সম্মান নেন না। যে সব স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কমিউনিস্ট ছিলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া পেনশন বা অন্যান্য সুবিধা নেন না। 

এখানে উল্লেখ্য, ২০০১ সালে, জ্যোতি বসুকে মাদার টেরেসা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। পুরস্কারমূল্য হিসেবে দু’লক্ষ টাকা, সোনার মেডেল ও শাল দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এ ছাড়া ২০০৫ সালে ‘ইন্সস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন এডুকেশন’ জ্যোতি বসুকে বিশেষ সম্মান দেয়। ২০০৭-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধুনা প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ডক্টর অব ল’ দেয়।

নিজের পদ্মভূষণ সম্মান পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন পদ্মভূষণ পুরস্কার নিয়ে আমি কিছুই জানি না, আমাকে এই নিয়ে কেউ কিছু বলেনি। যদি আমাকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দিয়ে থাকে তাহলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি। এই বিষয়ে পরে টুইটারে বার্তা দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন সরকারের তরফে কেউ কথা বলতে চাইলে ডাকযোগে পার্টি কিংবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যোগাযোগ করা যেতে পারে। সরাসরি ফোন বা দেখা করতে বারণ করা হয়েছে।

এর আগে জানা যায় এবছর পদ্মভূষণ সম্মান (Padma Bhushan) পাচ্ছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Former Bengal Chief Minister) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে এবছরের পদ্মপ্রাপকদের নামের তালিকা। মোট ১২৮ জন এই বছর পদ্মপুরস্কার পাবেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের হাত থেকে। তালিকায় রয়েছে ৮জন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ এবং ১০৭টি পদ্মশ্রী প্রাপকের নাম। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৪ জন নারী রয়েছেন। এছাড়াও বিদেশী, প্রবাসী ভারতীয়, পিআইও, ওসিআই বিভাগের ১০ জন ব্যক্তি এবং ১৩ জন মরণোত্তর বিভাগ অন্তর্ভুক্ত পুরস্কারপ্রাপ্ত।