সংক্ষিপ্ত
ঘূর্ণিঝড় গুলাব আসার আগেই মেদিনীপুর পৌর এলাকার স্পর্শকাতর স্থান থেকে খুলে নেওয়া হল বিদ্যুতের তার। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হল সব ত্রিফলা আলোগুলিকে।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে (Heavy Rain) জলমগ্ন (Water Logged) ছিল দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বিভিন্ন জেলার একাধিক এলাকা। সেই জমা দলে বিদ্যুতের তার (Electric Ware) পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। সেই থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার আগে থেকেই তৎপর মেদিনীপুর পৌরসভা (Midnapore Municipality)। ঘূর্ণিঝড় গুলাব (Cyclone Gulab) আসার আগেই মেদিনীপুর পৌর এলাকার স্পর্শকাতর স্থান থেকে খুলে নেওয়া হল বিদ্যুতের তার। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হল সব ত্রিফলা আলোগুলিকে (triphala lights)।
ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে (Coastal Area) আজ সন্ধের দিকেই আছড়ে পড়বে গুলাব। তবে তার হাত থেকে রেহাই পাবে না বাংলা। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। গুলাবের প্রভাব পড়বে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। তাই তার আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। জেলা প্রশাসনের তরফে আশ্রয়স্থলগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝড় বৃষ্টির সময় সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন পথচলতি মানুষ। সেই এলাকাগুলিতে অনেক বেশি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব, আগেভাগেই বাতিল ২৮টি ট্রেন
মেদিনীপুর পৌরসভার তরফে শনিবার থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। চারদিকে মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনার কথা মাথায় রেখে দু'দিন ধরে বিদ্যুতের তারের উপর পড়ে থাকা গাছ ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরানো হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর পৌর এলাকাতে থাকা বিভিন্ন ত্রিফলা বাতির সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। মাটির তলা দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারগুলি পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সংযোগ ছিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল মেদিনীপুর পৌর এলাকা। এবারও বৃষ্টি বেশি হলে এলাকাগুলি জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে কেউ যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হন সেই কারণে আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব, দিঘা পর্যটকশূন্য করার নির্দেশ প্রশাসনের
আবহবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাব রাজ্যে সরাসরি না পড়লেও, মঙ্গল ও বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে ফের বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ আসার আগেই তৎপর প্রশাসন।
অন্যদিকে আবহাওয়া দফতর ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করার পরই তৎপর লালবাজার (Lalbazar)। কারণ গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে কলকাতার নানা প্রান্ত জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। এবার দুর্যোগের আশঙ্কা আরও প্রবল হওয়ায় আগে থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তারা। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে থাকছেন কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation), পূর্ত দফতর, দমকল ও সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। এছাড়া লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে (Control Room) খোলা হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। কলকাতা পুলিশের তরফে নোডাল অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায় চৌধুরী।