সংক্ষিপ্ত
মালদহের কালিয়াচকের পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি। এদিকে মালদহে ওই পুলিশি অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মালদহের কালিয়াচকের (Malda Kaliachak) পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি। এদিকে মালদহে ওই পুলিশি অভিযানের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মূলত মাদককারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে চালাতে গিয়েই এই মর্মান্তি ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযান চালানো সময়েই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। তখনই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলিবিদ্ধ হয় স্থানীয় ওই যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক কারবারির থেক উদ্ধার করা হয়েছে সেভেন এমএম পিস্তল এবং ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। জানা গিয়েছে, ধৃত ওই মাদক কারবারির নাম আসমাউল শেখ। তাঁর বাড়ি কালিয়াচকের কলেজ মোড় এলাকায়। আরও এক মাদক কারবারি পুলিশের অভিযানের সময় পালিয়ে যায়। মূলত গোপনসূত্রে মাদক কারবারের খবর পেয়েই অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের দুটি দল বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালায়। সাদা পোশাকের পুলিশ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অভিযুক্ত আসমাউল।পুলিশকর্মীরা রক্ষা পেলেও গুলি লাগে স্থানীয় যুবক রাজিব শেখের। পলাতক মাদক কারবারি খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে গুলিবিদ্ধ যুবক রাজীব শেখকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের তলপেটে গুলি লাগে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ অবধি মৃত্যু হয়েছে গুলিবিদ্ধ রাজিব শেখের। মৃত যুবক বৈষ্ণবনগর থানার কুম্ভীরার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, পুলিশের সোর্স হিসেবে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে এলাকায় যায় ওই যুবক। সে সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি লাগে রাজিব শেখের শরীরে। স্বাভাবিকভাবেই মর্মান্তিক এহেন ঘটনায় শোকের ছাড়ায় সারা মালদহে।
প্রসঙ্গত, এরআগেও মাদকপাচারকারীদের পাকড়াও করেছে পুলিশ। তবে একুশের ক্রাইম গ্রাফে তেমন একটা গুলিবর্ষণের ঘটনা উঠে আসেনি। এভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার সাহস পায়নি দুষ্কৃতিরা। বরং উল্টোটাই হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় পাচারকারীরা পালাতে গিয়ে বিএসএফ-র গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। আবার কখনও হাতেনাতে ধরাও পড়েছে। তবে তেমন একটা গুলিবর্ষণ সেখানেও হয়নি। মালদহ, মুর্শিদাবাদ জুড়ে হামেশাই এই পাচারকারবার চলতে থাকে, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়েই। তবে এবার গোপনসূত্রে আগে থেকেই খবর পেয়ে ভালমতোই তৈরি ছিল পুলিশ। কিন্তু শেষঅবধি মর্মান্তিক ঘটনাই ঘটল। তবে গ্রেফতার হওয়া মাদককারবারীর থেকে একাধিক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।