সংক্ষিপ্ত
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকে। বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরে পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য। রাজনৈতিক তর্জা শুরু বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে।
বিধানসভা ভোটের(assembly elections) ফলফল প্রকাশের পর থেকেই চাপ বেড়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের উপর। এমনকী বদলের ডাক গিয়েও ধরাশায়ী হয়েছে বাংলায় মোদীর বিজয় রথ। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ফের বেজে গিয়েছে পুরভোটের দামামা। ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এরইমাঝে সাত সকালেই একটি পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বাকুঁড়ায়। মূল ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার(Bankura) সোনামুখী(sonamukhi) বিধানসভা কেন্দ্রের পাত্রসায়ের বাজারে। এদিন সকালে একাধিক চাঞ্চল্যকর পোস্টার নজরে আসে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে এলাকার মানুষের।
ওই পোস্টারে লেখা বিজেপি(BJP) বিধায়ক(Bankura BJP MLA) দিবাকর ঘরামি নিখোঁজ। একইসাথে ওই পোস্টারেই লেখা ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর থেকেই বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি নিখোঁজ, বিধায়কের খোজ পেলে জানাবেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই পোস্টার গুলি প্রকাশ্য আসতেই তৃনমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তর্জা শুরু হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবি, এই সবই তৃণমূলের চক্রান্ত অন্যদিকে তৃনমূলের(Trinamoo) দাবি বিজেপি বিধায়ক কে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি তাই বিধায়কের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তা প্রকাশ্যে এনেছেন। এর সাথে তৃণমূলের কোন সম্পর্ক নেই। যদিও এই ইস্যুতে দু-পক্ষেপ বাকযুদ্ধ এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন- কৃষক আন্দোলনে তৃণমূলের ‘কৃতিত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন, মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোপ অধীরের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার সোনামুখী কেন্দ্র থেকে এবারের ভোটে জয়ী হন বিজেপির দিবাকর ঘরামি৷ তাঁর নামেই এদিন সকালে পাত্রসায়র বাজারে ছয়লাপ হয় পোস্টারে৷ পোস্টার প্রসঙ্গে বিজেপি শিবিরকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা যায় পাত্রসায়রের ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর দাবি, “এটা নিতান্তই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল৷ আমার মনে হয় পোস্টারে সত্যি কথাই লেখা হয়েছে৷ ২রা মে-র পর থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে এলাকায় দেখা যায়নি৷ এরা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন৷”
এখানেই না থেমে বাঁকুড়ার ভোটের রেজাল্টা নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। খানিক রাগাণ্বিত হয়েই তিনি বলেন, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২১৩টি আসন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে কোনও ফ্যাক্টর নয়৷” যদিও খানিক ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতেই দিবাকর ঘরামির দাবি, “সোনামুখী বিধানসভা এলাকায় মানুষ যে তৃণমূলের সঙ্গে তার প্রমাণ আগেই মিলেছে। ২০১৬-র বিধানসভা থেকে এপর্যন্ত সব ভোটে হেরেছেন৷ তাই ওরা এখন কি বলল না বলল তাতে কিছু এসে যায় না।আমরা আমাদের কাজ করে যাব।এটা পুরোটাই শাসক দলের চক্রান্ত।”