সংক্ষিপ্ত
হঠাৎই কানে আসে দুর্ঘটনার সংবাদ, তার পর ঠিক কী ঘটল, নিজেই এক সংবাদ মাধ্যমকে বিস্তারিত জানালেন, লিখলেন- ঘড়ির কাঁটায় তখন পাঁচটা হবে, সামনের মাঠ কুয়াশাতে বেশ কিছুটা আবছা হয়ে এসেছে। এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠ, তড়িঘড়ি তাকিয়ে দেখেন তিনি তাঁরই এক পরিচিত ব্যক্তি সুব্রত রায়।
দোমহিনী, ভয়ানক দুর্ঘটনার (Maynaguri Train Accident) সাক্ষী থাকল বৃহস্পতিবার বিকেলে, শীতের বিকেল, তাই কুয়াশা চারিদিকে, হঠাৎই বিপর্যয়, চারিদিকে রে রে করে ওঠে সাধারণ মানুষ, ঠিক সেই সময়ই খুব সাধারণ একট দিনের মতই বসে ছিলেন ময়নাগুড়ির বিধায়ক কৌশিক রায় (MLA Kaushik Roy)। হঠাৎই কানে আসে দুর্ঘটনার সংবাদ, তারপর ঠিক কী ঘটল, নিজেই এক সংবাদ মাধ্যমকে বিস্তারিত জানালেন, লিখলেন- ঘড়ির কাঁটায় তখন পাঁচটা হবে, সামনের মাঠ কুয়াশাতে বেশ কিছুটা আবছা হয়ে এসেছে। এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠ, তড়িঘড়ি তাকিয়ে দেখেন তিনি তাঁরই এক পরিচিত ব্যক্তি সুব্রত রায়, তিনি বেশ কিছুটা সময় ভেবে পান না কেন সুব্রত ফোন করছেন, এই ভাবতে ভাবতেই ফোনটা ধরা, আর উল্টো দিত থেকে ধেয়ে আসা চিৎকার, ‘দাদা, সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। বিশাল ট্রেন অ্যাক্সিডেন্ট।’ প্রথমটাই বুঝতে তাংর বেশ বেগ পেতে হয়, তারপর কিছুটা সামলে নিয়ে তিনি আবার জানতে চান কী হয়েছে, সুব্রত ওপার থেকে বিধায়ককে জানায়, ‘দাদা স্টেশনের একটু আগে একটা ট্রেন উল্টে গেছে। জানি না ভিতরে কত জন আছে।’
আরও পড়ুন- আরও উঠল করোনা গ্রাফ, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ পার করল ২৩ হাজারের গণ্ডি, আতঙ্কে কলকাতা
এই খবরল শোনা মাত্রই যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তিনি ফোনটা রেখে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর জন্য উদ্যত হয়ে ওঠেন। কাছে তেমন কেউ না থাকায় নিজের দেহ রক্ষীদের নিয়েই সেখানে পাড়ি দেন। বাড়ি থেকে দুর্ঘটনাস্থল ১৩ কিলোমিটার। ঘটনস্থলে পৌঁছেই পুরোটা লক্ষ্য করেন তিনি, জানান, গিয়ে দেখেন গাড়ির কামরাগুলো উল্টে পড়ে রয়েছে, স্থানীয়রা ইতিমধ্যেই সেখন পৌঁচেছে, কেউ কাঁদছে, কেউ আবার উদ্ধারের চেষ্টায় মরিয়া, তিনি দৌরে সেখানে পৌঁছতেই সকলেই তাঁর থাকে আসে। এরপর সাধারণের সঙ্গে হাত লাগিয়ে ট্রেনের কামড়ার লোহার দরজা ভাঙার চেষ্টাও করেন তিনি, কিন্তু লোহার দরজা, ভাঙে কি সহজে! এ যেন এক ভয়ানক অভিজ্ঞতা, এরপরই তিনি লক্ষ্য করেন, একে একে প্রশাসনের লোকেরা ঘটনাস্থলে আসছে। এই কয়েকঘণ্টায় তিনি যা দেখেছেন, তাঁর কথায়, সারা জীবনেও এ ভোলার নয়।
উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Terrible train accident in North Bengal) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮। হাসপাতালে ভর্তি ৪০ জন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১৫। সারা রাত চলছে উদ্ধার কাজ, সকলকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থায় তৎপরতা তুঙ্গে।