সংক্ষিপ্ত
সীমান্তের প্রান্তিক চাষীদের জীবনে আসতে চলেছে নয়া বদল। কৃষকদের জন্য বর্ডার 'এরিয়া ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম' এর আওতায় তৈরি হচ্ছে আধুনিক 'শেল্টার'।
সরকারের(West Bengal Government) ছোট্ট একটা পরিকল্পনার ফলে পাল্টে গেল সীমন্তের চাষিদের আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা ময় জীবন!ফলত এখন স্বাভাবিক ভাবে ঝড়-জলের আশঙ্কাকে দূরে সরিয়ে অচিরেই সীমন্তের চাষিরা(Border Area) সীমান্ত এলাকায় চাষের কাজ করতে অবলীলায় পৌঁছিয়ে যাবে জমিতে। সরকার ওই সব এলাকার চাষিদের জন্য গড়ে তুলল নতুন “রেইন শেল্টার”(Modern Rain Shelters)। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো বটেই ওই শেল্টারে শীতের মরশুম থেকে গ্রীষ্ম-বর্ষা সমস্ত ঋতুতেই চাষিরা(Farmers) এই শেল্টারে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি দুর্যোগে পাকা ফসলও ওই শেল্টারে সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন তারা। এমনটাই জানাচ্ছেন উচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
তারা জানান, এত দিন সীমান্ত এলাকায় চাষ করতে গিয়ে একাধিক সমস্যায় পড়তেন কৃষকরা। মূলত বর্ষা কালে বজ্রাঘাতে কৃষকদের প্রাণ হানির ঘটনা লেগেই থাকত। এই শেল্টারের ফলে এখন থেকে যে কোনও মুহূর্তে কৃষক আশ্রয় নিতে পারবেন শেল্টারে"। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বেশিরভাগ অঞ্চলেই বেশ কয়েক বছর আগেই কাটা তারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অথচ কাটাতারের ওপাশেও ভারত ভূখণ্ড বর্তমান। সীমান্তের কৃষকেরা সীমন্ত রক্ষী বাহিনীকে তাদের পরিচয় পত্র দেখিয়া কাটাতারের গেট পেরিয়ে চাষবাস করতে যান। কিন্তু সীমন্ত এলাকায় কোনও ঘর বাড়ি না থাকায় রোদে জলে এত দিন তারা চরম বিপদের মুখে পড়তেন। রোদে সান স্ট্রোক, বজ্রাঘাতে কৃষক মৃত্যুর ঘটনা খবর লেগেই থাকত। এছাড়াও জলের তেষ্টা নিবারণ শৌচালয়ের কোনও ব্যাবস্থা না থাকায় শারীরিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়তেন চাষিরা। সীমন্তের কৃষিজীবীদের এই দুরবস্থার কথা মাথায় রেখে সরকার লালগোলা সীমন্তে রেইন শেল্টার নির্মাণের কর্মসূচি গ্রহন করেছে। বর্ডার এরিয়া ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম অর্থাৎ বিএডিপি প্রকল্পে সীমন্তে কৃষক ছাউনি গড়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- শ্রমিক আন্দোলনের মাঝেই তালা ঝুলল শ্যামনগর জুটমিলে, পথে বসলেন সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক
প্রায় সাড়ে ছ শো স্কোয়ার ফিটের অত্যাধুনিক দ্বিতল এই ছাউনি নির্মাণ করতে প্রতিটির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৭৬ টাকা। এই ছাউনিতে রয়েছে শৌচালয় এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় কয়েক মাসের মধ্যে আরও রেইন শেল্টারের নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা। তারা বলেন, “সীমন্তের কৃষকদের সমস্যার কথা ভেবে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অন্যন্ত মানবিক। কার্যত এই কর্মসূচির জন্য কৃষকদের জীবন রক্ষা করা যাবে। মূলত কাটাতারের বেড়ার গেট সংলগ্ন এলাকায় এই শেল্টার গুলি নির্মাণ করা হচ্ছে।”