সংক্ষিপ্ত
বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকের আমদাবাদ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকাপুরা বাজার এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক স্বরূপ দাস সহ প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী যোগদান করেন তৃণমূলে। এই কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অখিল গিরি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন ছিল নন্দীগ্রাম। কারণ এই আসনে লড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই আসনে বিজেপির টিকিটে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গোটা দেশের নজর ছিল এই আসনের দিকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল এই আসনে। তবে খুব কম ভোটের ব্যবধানে মমতা হারিয়ে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন শুভেন্দু। কিন্তু, এবার ওই কেন্দ্রেই ভাঙন ধরল বিজেপিতে। নন্দীগ্রামের শতাধিক বিজেপি কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অখিল গিরি।
বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম দুই নম্বর ব্লকের আমদাবাদ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকাপুরা বাজার এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক স্বরূপ দাস সহ প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী যোগদান করেন তৃণমূলে। এই কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন অখিল গিরি। তারপরই বিজেপিকে নিশনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'ন্যাশনাল ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো'-র পরিচয়ে প্রতারণা, ধৃত ভুয়ো 'ডেপুটি ডিরেক্টর'
আরও পড়ুন, ওড়নার আড়ালেই চলত মাদক পাচার, বারুইপুরে ১ কোটি টাকার হেরোইন সহ গ্রেফতার মহিলা
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অখিল গিরি বলেন, "নির্বাচনে কারচুপি করে জিতেছে। কারচুপি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো হয়েছে। ওদের সঙ্গে মানুষ নেই। সব দুর্নীতিগ্রস্ত।" এদিকে বৃষ্টিতে নন্দীগ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাক্তন সেচমন্ত্রী শুভেন্দুকেই নিশানা করেছেন তিনি। বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করে একজনকে সেচ দফতরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ডুবিয়ে দিয়ে গিয়েছেন জেলাকে। কোনও কাজ করেননি সেচ দফরের, শুধু দুর্নীতি করেছেন। যার জেরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় খাল, বিল ও নিকাশির নালার বেহাল অবস্থা। ফল স্বরূপ বাঁধ বেহাল যার জেরে জল ঢুকছে গ্রামের পর গ্রামে।"
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তারপর নির্বাচনে খুব কম ভোটের ব্যবধানে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে জেতেন তিনি। এই নির্বাচন প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগে মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেছিলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেতার জন্য নন্দীগ্রামে আসেননি। বিধায়ক হওয়ার জন্য আসেননি। নন্দীগ্রামের উন্নয়নের জন্য আসেননি। তিনি এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে প্রমাণ করতে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া শুভেন্দু জিততে পারেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া শুভেন্দুর কোনও অস্তিত্ব নেই। এই চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। ব্যবধান একটু বেশি আশা করেছিলাম ঠিকই। এই কেন্দ্রে জয় গোটা দেশে তৃণমূলের জয়ের থেকেও অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেউ একজন হারাতে পারে।" আর এবার তাঁরই গড়ে ভাঙন ধরল বিজেপির। শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে।