সংক্ষিপ্ত
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে মা ও মেয়ের মর্মান্তিক পরিণতি। মেয়ের মানসিক অবসাদের চাপ মায়ের ওপর। ফল হল মৃত্যু।
গ্রামের একটি পুকুর থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজগঞ্জের মাঝিয়ালি অঞ্চলের বড়ভিটা হাঁড়িয়ারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা।
জানা গেছে, মেয়ের নাম অসীমা যাঁর বয়স সতেরো। মায়ের নাম সুজাহান, যাঁর বয়স পঁয়ত্রিশ। তারা রাজগঞ্জের মাঝিয়ালী অঞ্চলের বড়ভিটা হাণ্ডিয়ারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। মেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। সেই নিয়ে তাঁর মাও অবসাদে ছিলেন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধানের খেতের পাশে একটি ডোবা আছে। শুক্রবার সেই ধানের খেতের পাশের ডোবার দিকে মেয়ে ছুটে যায়। তাঁকে ছুটতে দেখে তাঁর পেছনে মাও তড়িঘড়ি করে ছুটে যান। সেই ধানের খেতের পাশের ডোবাতেই ঝাঁপ দেয় আসীমা। মেয়েকে লাফ দিতে দেখে মাও তার পিছনে দৌড়ে ডোবায় ঝাঁপ দেন মেয়েকে বাঁচানোর জন্য। তারা রাজগঞ্জের মাঝিয়ালী অঞ্চলের বড়ভিটা হাণ্ডিয়ারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। এমনটাই জানালেন রাজগঞ্জের মাঝিয়ালি অঞ্চলের বড়ভিটা হাঁড়িয়ারবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনার পর অবিলম্বে খবর দেওয়া হয় রাজগঞ্জ থানায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাঁদের ম্দৃতহ উদ্ধার করে রাজগঞ্জের গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ঠিক কি ঘটেছে তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকা শোকসন্তপ্ত। রাজগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী ও দুই ছেলে আছে। তাঁরা দুজনেই কাজের সুত্রে বাইরে থাকেন।দুটি মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।