সংক্ষিপ্ত

দুর্ঘটনায় শিশু,মহিলা, প্রৌঢ় সহ মৃত ৫ জনের দেহ সমাধিস্থ করার অপেক্ষায় গোটা গ্রাম। উৎসবের মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া!

উৎসবের পরিবেশে এলাকা জুড়ে নিস্তব্ধতা(Murshidabad Accident)! দুর্ঘটনায় (car accidents) শিশু ,মহিলা, প্রৌঢ় সহ মৃত ৫ জনের দেহ সমাধিস্থ করার অপেক্ষায় গোটা গ্রাম (Mourning)।

 উৎসবের মাঝে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া! কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। একই পরিবারের শিশু, মহিলা, প্রৌঢ় সহ পরপর ৫ জনের বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় সলিল সমাধি হয়। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার বড়ঞার সোদপাড়া এলাকা জুড়ে এখন  শুধুই আপন জনেদের বিরহে নিস্তব্ধ গোটা এলাকা। 

সকলেই অপেক্ষা করছেন মৃতদেহ আসার পর তাদের যাবতীয় ক্রিয়া-কলাপ শেষ করে সমাধিস্থ করার জন্য। সুদূর স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে কর্মরত বাড়ির ছেলেকে ফিরিয়ে আনার খুশিতে সকলে মুর্শিদাবাদ থেকে একটি প্রাইভেট চার চাকার বোলেরো গাড়ি ভাড়া করে দমদম এয়ারপোর্ট থেকে ১১ জন সদস্য মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন। আর তার পরেই ঘটে যায় সেই ভয়াবহ ঘটনা। 

বর্ধমান - কান্দি গামী রাজ্য সড়কের কামনাড়া মোড় এলাকায় ওই বোলেরো গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি একটি ডাম্পারে ধাক্কা মারে । ঘটনাস্থলেই দুমড়ে-মুচড়ে যায় ওই পরিবারের সদস্য বোঝায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। মৃতরা হলো  নাম সায়ন শেখ(৬) আরিয়ান শেখ(৪)। বাকিরা হলেন রাশেদ শেখ (৫৯), সায়নুর খাতুন (১৮) এবং সোনালি খাতুন (১৯)। সকলেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার সোদপাড়া এলাকার একই পরিবারের সদস্য। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ৬ জন।

বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি সেখানে ছুটে আসে। কোনরকমে রক্তাক্ত অবস্থায় গাড়ির কাঁচ ও বিভিন্ন ভেঙে যাওয়া অংশ থেকে তাদের এক এক করে বের করে। তবে কীভাবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা, গাড়ি চালানোর সময় চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি ডাম্পারে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে এই ঘটনার খবর মুর্শিদাবাদে মৃতের পরিবারের বাকি সদস্যদের কাছে এসে পৌঁছতে তারা হা-হুতাশ করতে থাকেন। 

এদিকে এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর জানতে পেরেই স্থানীয়  বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা এই অসহায় পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি বলেন, “এমন দুর্বিষহ ঘটনা নিয়ে বলার কিছু নেই। খুবই মর্মান্তিক, উৎসবের মাঝে একই পরিবারের এত জন সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে অন্যান্য মানুষের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমরা সর্বতোভাবে ওই পরিবারের পাশে রয়েছি মৃতদেহ এসে পৌঁছানোর পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ভাবেও এই পরিবারটিকে আমরা সহযোগিতা করব"। 

এদিকে মৃত পরিবারের এক আত্মীয় রিঙ্কি বিবি বলেন,"সবাই মিলে কলকাতা গিয়েছিল গাড়ি করে মুম্বাই থেকে আমাদের আত্মীয় কে ফিরিয়ে আনার জন্য তারপরে যে এমন ঘটনা ঘটবে ৫ জন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে তা আমরা স্বপ্নেও কল্পনা করিনি"।