সংক্ষিপ্ত
মুকুল এখন পদ্মেই, জানালেন অধ্যক্ষ। দলত্যাগ করেননি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক। দীর্ঘ শুনানির পর ফের জানিয়ে দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুকুল এখন পদ্মেই, জানালেন অধ্যক্ষ। দলত্যাগ করেননি কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক। দীর্ঘ শুনানির পর ফের জানিয়ে দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মুকুল রায়ের দলত্যাগের অভিযোগ খারিজ হল বিধানসভায়। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ফের খারিজ করে দিলেন তিনি। যার জেরে মুকুলের বিধায়ক পদ হারানোর আর কোনও সম্ভাবনা থাকল না। উল্লেখ্য, এর আগেই মুকুল রায়ের দলবদলের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ শুনানি চলছিল। তখনও বিধানসভায় অধ্যক্ষ জানিয়েছিলেন, মুকুল রায় দলত্যাগ করেননি। পরে অধ্যক্ষের সেই রায়, আবারও পুনরায় বিবেচনার জন্য পাঠানো হয় বিধানসভায়। এরপর বুধবার স্পিকার সেই একই কথা জানিয়ে দিলেন, মুকুল বিজেপিতেই রয়েছেন।
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এর কিছুদিন পরেই তাঁকে দেখা যায়, তৃণমূল ভবনে। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়ের গলায় উত্তরীয় পরিয়েছিলেন । সেই ঘটনার থেকেই বিজেপি অভিযোগ করেছিল, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। প্রথম দফায় মুকুল রায়ের দলত্যাগ মামলা নিয়ে মোট ১২ টি শুনানি হয়। সেই দীর্ঘ শুনানি পর্বের পরপর স্পিকার বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মুকুল রায় দল ত্যাগ করেননি। তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন।
আরও পড়ুন, মাদলের তালে তালে মমতা, আদিবাসীদের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
এদিকে পরবর্তী বিধানসভায় স্পিকারের এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে যান বিজেপি বিধায়করা।আদালতের তরফে বিধানসভার অধ্যক্ষকে বলা হয়, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করার জন্য। সেক্ষেত্রে বিজেপির তরফ থেকে বক্তব্য ছিল, তাঁদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেশ কিছু তথ্য ও ছবি ও নথিপত্র জমা দেয় বিজেপি। বুধবার মুকুল রায়ের দলত্যাগের সেই অভিযোোগ আবারও খারিজ করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন, ধর্মতলার ম্যানহোল থেকে মিলল গুজরাটি দম্পতির ফোন, ভবানীপুর জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
তবে বিজেপির অভিযোগ যেমন ছিল, তেমন কিছু মুকুল রায়ের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসে। যার মধ্যে অন্যতম এটাই, সবাই জানে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এদিকে তৃণমূলের সভায় গিয়ে, অনুব্রত পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির হয়ে কথা বলেছেন। সারা বাংলায় বিপুলভাবে ভারতীয় জনতার প্রার্টির জয় হবে, শান্তিকেতনে গিয়ে আচমকাই একবার বলে ওঠেন মুকুল রায়। পাশেই দাঁড়িয়ে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এহেন এমন মুহূর্তে ঘাসফুলের বাকিরা কি করবেন বুঝতে পারেছেন না। এরপর কেউ একজন ভূল ধরিয়ে দিতে মুকুল আরও বড় কাণ্ড ঘটালেন। এদিকে পাশ থেকে ভেসে আসা তৃণমূল কথা শুনেই এরপর আরও একধাপ এগিয়ে বললেন, তৃণমূল তো বটেই। ভারতীয় জনতা প্রার্টি মানেই তৃণমূল। এরপর চূড়ান্ত অস্বস্তিতে উপস্থিত তৃণমূলের সবাই। এরপর তারাই জানান, শারীরিক অসুস্থতার জেরেই এমন অসংলগ্ন কথা বলছেন মুকুল।
তবে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল মুকুল রায়। ৬ অগাস্ট, কৃষ্ণনগরে বসেই এমনই চমকে দেন তিনি।কৃষ্ণনগর উত্তরের মুকুল ১১ জুন তৃণমূলে ফিরে যান। পুরোনো দলে নতুন করে যোগদানের পরে কৃষ্ণনগরে গিয়ে বিজেপির জয় এবং তৃণমূলের পরাজয়ের কথা সেবারও সবাই অস্বস্তিতে ফেলে গিয়েছিলেন। সেদিন বারবার ভূল ধরিয়ে দেন মুকুলকে সবাই। কিন্তু বিজেপির ফ্লো নিয়েই তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা প্রার্টীর তরফ থেকে আমি বলতে পারি, তৃণমূল পদুর্যস্ত হবে। এবং এই কৃষ্ণনগরে নিজেদের স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করবে বিজেপি। মুকুলের মন্তব্যে লজ্জায় পড়ে যান প্রার্টির অনুগামীরা। চারিপাশ থেকে আওয়াজ আসে, 'দাদা ওটা তৃণমূল হবে।'