সংক্ষিপ্ত

বসিরহাটের ইছামতি নদী লাগোয়া শহর টাকি থেকে দীঘা পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালু হওয়ায় রীতিমতো খুশি সাধারণ যাত্রীরা। এবার থেকে পর্যটকরা সরাসরি ইছামতি থেকে বঙ্গোপসাগর পৌঁছে যেতে পারবেন।

রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রে (State Tourist Spot) স্থান পেলো বসিরহাটের (Basirhat) টাকি (Taki)। চালু হলো একাধিক বাস রুট (Multiple bus routes)। মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) প্রতিশ্রুতি রক্ষায় খুশি বসিরহাটবাসী। রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিল বসিরহাট টাকি পর্যটন কেন্দ্র। ইছামতি নদী, টাকি রাজবাড়ী, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত-সব মিলিয়ে টাকিতে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে শীতকালীন মরসুমে। তাকে গুরুত্ব দিয়ে আরো বেশি সংখ্যক পর্যটক টানতে নতুন করে শুরু হল একাধিক রুটের বাস পরিষেবা।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাকি পৌরসভার টাকি পর্যটন কেন্দ্র ভারতবর্ষের পর্যটন মানচিত্রে বিশেষভাবে জায়গা পেয়েছে বহুদিন যাবত। কিন্তু যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক মতো না থাকায় অসুবিধায় পড়ছিলেন পর্যটকরা। এবার সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের দাবি মেনে সরকারি বাস পরিষেবা চালু হল। একেবারে ইছামতি রাজবাড়ির ঘাট থেকে দীঘা পর্যন্ত প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ বাস চলবে। পর্যটক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিন দাবি ছিল পর্যটন কেন্দ্র থেকে সরকারি বাস চালু করার। সেই দাবি মেনে সরকারি পরিবহন যাত্রা শুরু হল। মাথাপিছু যাত্রী ভাড়া ২০০ টাকা। 

সোমবার টাকি রাজবাড়ীর ঘাট থেকে তার শুভ উদ্বোধন করেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ বঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান এটিএম আব্দুল্লাহ, তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মন্ডল, টাকি পৌরসভার পুর প্রশাসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক চিকিৎসক সপ্তসী বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট উত্তর বিধানসভা বিধায়ক রফিকুল ইসলাম সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। 

বসিরহাটের ইছামতি নদী লাগোয়া শহর টাকি থেকে দীঘা পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালু হওয়ায় রীতিমতো খুশি সাধারণ যাত্রীরা। এবার থেকে পর্যটকরা সরাসরি ইছামতি থেকে বঙ্গোপসাগর পৌঁছে যেতে পারবেন। এই পরিষেবা পরিবহনের নয়াদিগন্ত বলে মনে করেন এলাকার মানুষ থেকে পর্যটক সকলেই। একদিকে যেমন এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশকে নিজের চোখে দর্শন করতে পারবেন। অন্যদিকে ইছামতী নদীতে পর্যটকরা নৌকা বিহার করতে পারবেন। এছাড়াও সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ থেকে শুরু করে বহু পরিযায়ী পাখি দেখতে পারবেন পর্যটকরা।

তাই এই সরকারি বাস পরিষেবা ইচ্ছামতী পারের পর্যটকদের কাছে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল বলে মনে করছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। দীর্ঘ লকডাউন এর জেরে টাকি পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের অভাবে লোকসানে চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মত নতুন বাস রুট চালু করে ফের পর্যটক আনার ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়াতে পূর্বের ক্ষতি পূরণের আশায় শিল্পের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।