সংক্ষিপ্ত
১০৮টির মধ্যে ১০২টি পুরসভা গিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেসের দখলে। গোটা রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১টিতে জয়ী বামেরা, আর ১ টিতে জিতেছে অন্যন্যরা। ৩টি পুরসভা রয়েছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়।
আগাম পূর্বাভাস ছিলই। কিন্তু তাই বলে একেবারে ঘাসফুল ঝড়ে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়বে বিরোধী শিবির এমনটা বোঝা যায়নি। শেষ বিধানসভা নির্বাচনের পর এদিনের পৌরসভা নির্বাচনে বড়সড় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে শাসক তৃণমূল। ১০৮টির মধ্যে ১০২টি পুরসভা গিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেসের দখলে। গোটা রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১টিতে জয়ী বামেরা, আর ১ টিতে জিতেছে অন্যন্যরা। ৩টি পুরসভা রয়েছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। এদিকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত গণনায় শতাংশের হিসাবে তৃণমূল পেয়েছে ৬২.৪৪ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ১৩.৪২ শতাংশ। সিপিআই পেয়েছে ০.৭১ শতাংশ, সিপিএম ১১.৮৩ শতাংশ, ফরোয়ার্ড ব্লক ০.৬৬ শতাংশ, আরএসপি ০.৩৭ শতাংশ, কংগ্রেস ৫.০৬ শতাংশ, নির্দল ৫.৩৫ শতাংশ ভোট। এদিকে গোটা রাজ্যের মধ্যে শুধুমাত্র নদীয়ার তাহেরপুর দখল করেছে বামেরা। অন্যদিকে দার্জিলিং গিয়েছে হামরো পার্টির দখলে।
এদিকে তৃণমূলের এই ভরা বাজারে একটি আসন জিতেও খুশি বাম-কর্মী সমর্থকেরা। তাদের দাবি, এই জয় শান্তির জয়, উন্নয়নের জয়। তবে এবারের পুরভোটের হাত ধরে দার্জিলিংয়ে তৈরি হয়ে গেল নয়া সমীকরণ। অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি বোর্ড তৈরি করতে চলেছে সেখানে। এদিকে হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড ছিলেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিষিংয়ের ঘনিষ্ঠ৷ বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে নতুন দল হামরো পার্টি গঠন করেন তিনি৷ গত বছর ২৫ নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে হামরো পার্টি৷ তাঁর এই জয়ে স্বভাবতই সাড়া পড়ে গিয়ছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী এই দলের উত্থান নিয়েও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। এদিকে গোটা রাজ্যে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতায় জয় ছিনিয়ে আনার পর উচ্ছ্বসিত তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরাও।
আরও পড়ুন- শুরু ফলপ্রকাশের কাউন্টডাউন, কার হাতে যাচ্ছে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ
আরও পড়ুন- কার দখলে কৃষ্ণনগর, রাত পোহালেই ফলপ্রকাশ
আরও পড়ুন- কার দখলে যাচ্ছে নবদ্বীপ পৌরসভা, শুরু কাউন্টডাউন
এদিন জয়ের পর দার্জিলিং প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে দেখা যায়, “আমি সবথেকে খুশি দার্জিলিংয়ের ভোটের প্রসেস শুরু হয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ফিরে এসেছে। পাঁচটা রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নিয়েছে। আমাদের কোনও দিন কিছু ছিল না, আমাদেরও খাতা খুলেছে। যে পাঁচটা পার্টি অংশ নিয়েছে সকলের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক আছে। আগামিদিনে জিটিএ ভোটও করিয়ে দেব। পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বারবার কেন্দ্রকে বলছি আইনটা পাঠাতে। ওখানে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নেই। পঞ্চায়েতের আইনটা কেন্দ্রীয় আইন। বারবার আইনটা করে দিতে বলেছি। এটা করে দিলে মানুষ পঞ্চায়েতের সুবিধাটা পায়। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে।” একই সঙ্গে রাজ্যব্যাপী পুরভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাজ্যের মা-মাটি-মানুষকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি মমতা।