বছর শেষের সন্ধ্যায় বিপত্তি!বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হল সিলিংয়ে।
একদিকে যখন সকলে বছরশেষের বিদায় দিনে মেতেছে। ঠিক তখনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত মাঠপাড়া এলাকা(Mathpara area of Murshidabad)। স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের(extramarital affair) প্রতিবাদের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে উঠল খুনের অভিযোগ। এমনকী তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে মৃতদেহ(Dead Body) ঘরের সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ারও অভিযোগে উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বছর বাইশের ওই গৃহবধূর নাম রিজিয়া বিবি। এদিকে এই ঘটনা চাউর হতেই উৎসবের আমেজ যেন ম্লান হয়ে গেছে এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর কয়েক আগে সামাজিকভাবে দেখাশোনা করে মালোপাড়া এলাকার বাসিন্দা রিজিয়ার সঙ্গে পেশায় দিনমজুর মাঠপাড়া এলাকার সাহিবুল শেখের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের একটি সন্তান রয়েছে।
এ পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও অন্তরালেই দানা বাঁধতে থাকে চূড়ান্ত দাম্পত্য সমস্যা(Marital problems)। অভিযোগ, সম্প্রতি সাহিবুলের সঙ্গে পাশের গ্রামের এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নিয়ে সাইবুলেরসঙ্গে তার স্ত্রী রিজিয়ার পারিবারিক অশান্তি ক্রমশ বাড়তে থাকে। স্বামীর এই সম্পর্ক মেনে না নিতে পারে বারংবার প্রতিবাদ করে রিজিয়া। আর তার জেরেই স্বামীর চক্ষুশূল হয়ে ওঠে সে। এননটাই জানাচ্ছে প্রতিবেশীরা। সূ্ত্রের খবর, খুনের পররিজিয়ার বাবার বাড়িতে তার মা মানসূরা বিবিকে ফোন করে সাইবুল। জানানো হয় তাদের মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। এরপরেই তড়িঘড়ি রিজিয়ার পরিবারের লোকজন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছুটে আসে। তবে মৃতদেহ দেখেই তাদের সন্দেহ হয়।
দেখা যায়রিজিয়া বিবির সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তখনই বাড়তে থাকে সন্দেহ। মৃতের মা মানসুরা বিবি বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি লেগেই থাকত জামাইয়ের।জামাইয়ের অন্য মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে আমার মেয়েকে অত্যাচার করত। আমার মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যায়নি।আমার মেয়েকে তার স্বামী সহ শশুর শাশুড়িরা শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য এটা করেছে ওরা”। এদিকে ঘটনার পর থেকে জামাই সহ বাড়ির লোকজন পলাতক। মৃতের বাবা বলেন,"আমার মেয়েকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে জামাই। আম আমরা ওর ফাঁসি চাই"। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। সাইবুল ও তার বাড়ির লোকজনের খোঁজেও চলছে জোরদার তল্লাশি অভিযান।
