সংক্ষিপ্ত
জিয়াগঞ্জ পুরসভাকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কর্মকর্তাদের। এদিকে রাজনৈতিক 'খেলা' জয়ে চ্যালেঞ্জ দিতে শুরু করেছে তৃণমূলও।
কলকাতার পরে রাজ্যের (West Bengal) বিভিন্ন জেলায় পুরভোটে (Municipal Election) কাঠি পড়তেই ময়দানে নেমে পড়ল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা বিজেপি (district BJP) নেতৃত্ব। আর সেক্ষেত্রে জিয়াগঞ্জ পুরসভাকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কর্মকর্তাদের। এদিকে রাজনৈতিক 'খেলা' জয়ে চ্যালেঞ্জ দিতে শুরু করেছে তৃণমূলও। শুরুতেই ওই পুরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বিজেপি ধরে রাখতে পারলে ওই পুরসভা যে গেরুয়া শিবিরের দখলে আসবে এমনটাই মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। এই ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের বিধায়ক তথা বিজেপি রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌরী শঙ্কর ঘোষ বলেন, “গত বিধান সভা নির্বাচনে ওই পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা এগিয়ে ছিলাম। বিধানসভা নির্বাচনের পর পুর এলাকায় আমরা সংগঠন আরও শক্তিশালী করতে সমর্থ হয়েছি। ফলে পুরভোটে তার প্রভাব পড়বে"।
মোট ১৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভা। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে মোট আসনের মধ্যে ১৪টি দখল করে সিপিএম, ৩টি আসন পায় কংগ্রেস। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সিপিএম পুর বোর্ড গঠন করে। চেয়ারম্যান হন শঙ্কর মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান হন প্রসেনজিত ঘোষ মনু। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে শঙ্কর মন্ডলের নেতৃত্বে সিপিএমের অর্পিতা শিকে বাদ দিয়ে অন্যান্য সব কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন।
বোর্ড তৃণমূলের দখলে গেলেও চেয়ারম্যান ,ভাইস চেয়ারম্যান অপরিবর্তিত থাকে। কিন্তু ২০১৭ সালে শঙ্কর মন্ডলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে চেয়ারম্যান পদে বসেন প্রসেনজিত ঘোষ মনু আর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মলয় রায় । এর ফলে শঙ্কর মন্ডল ও ১২ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পবন মন্ডল বিজেপি দলে যোগ দেন। এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে ১৭টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল দলের ভোটকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রার্থীর থেকে বিজেপি প্রার্থী ১১ হাজার ৩২২টি ভোট বেশি পেয়েছিলেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে ১২ ওয়ার্ডে ১৭০৪, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫৭৮, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩৭৮, এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৯৫৩ ভোটে এগিয়ে বিজেপি। ৭টি ওয়ার্ডে ৪০০-র বেশি ভোটে এগিয়ে বিজেপি এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বনিম্ন ৩০ ভোটে এগিয়ে গেরুয়া শিবির। স্বাভাবিক ভাবে বিজেপি জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভাকে পাখির চোখ করবে এটাই দস্তুর। তবে পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রসেনজিত ঘোষ মনু বলেন, “বিধানসভা ভোটের নিরিখে পুরসভার নির্বাচন হয় না। স্থানীয় উন্নয়ন গুলিকে সামনে রেখেই পুর ভোট দেন নাগরিক, সেই বিচারে আমরাই এগিয়ে এবং ফের জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভায় তৃণমূল একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করবে।”