সংক্ষিপ্ত
জেলা পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের এত বড় সাফল্যে রীতিমতো খুশির হাওয়া পুলিশ মহলে। সীমান্তের মাদক নেটওয়ার্কের পাণ্ডাদের হদিস মিলবে বলেই এবার মনে করা হচ্ছে।
বয়স সকলের মেরেকেটে ২৫ থেকে ২৮। বাইরে থেকে দেখে আর পাঁচটা সাধারণ যুবকের মত মনে হলেও বমাল ধরা পড়তেই চোখ কপালে উঠেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ইন্দো-বাংলা সীমান্তের পুলিশকর্তা (Police) থেকে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (S.O.G) আধিকারিকদের। ধৃতদের কাছ থেকে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রায় ,২কোটি টাকার উন্নত মানের মাদক ও হেরোইন উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার কে. শবরী রাজকুমার জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের এত বড় সাফল্যে রীতিমতো খুশির হাওয়া পুলিশ মহলে। সীমান্তের মাদক নেটওয়ার্কের পাণ্ডাদের হদিস মিলবে বলেই এবার মনে করা হচ্ছে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ওই এস জি গ্রুপের কর্তারা লালগোলা পুলিশের সঙ্গে 'ব্লুপ্রিন্ট' তৈরি করে স্থানীয় পীরতলা এলাকার একটি আম বাগানের মধ্যে খানাতল্লাশি চালান। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে রুদ্ধশ্বাস অভিযান। তারপরই সাফল্য মেলে। উন্নত মানের ১ কেজি ৮০০ গ্রাম যার বাজারমূল্য প্রায় দু কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে আম বাগানের মধ্যে থেকে ওই বিপুল পরিমাণ উন্নত মানের হেরোইন সীমান্ত দিয়ে অন্যত্র পাচার করার ছক কষেছিল একদল পাচারকারী। ধৃতরা হল রিপন শেখ, আবুল হাসান ও রবিউল ইসলাম।
Terrorist Killed: অরুণাচলে অসম রাইফেলসের কঠোর অভিযান, নিহত তিন জঙ্গি
Mahatma Gandhi: ভারতের উপহার দেওয়া গান্ধী মূর্তি ভাঙচুর, দুঃখ প্রকাশ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
জেরা করে জানা যায় এর মধ্যে রিপনের বাড়ি নদিয়ায়। বাকি দু’জনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানা এলাকায়। এদিকে মুর্শিদাবাদ সীমান্তে ক্রমশ বাড়তে থাকা মাদক নেটওয়ার্কে বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছে জেলা পুলিশ থেকে শুরু করে এসওজি কর্তারা।লালগোলা থানা এলাকায় গত দুমাসে ১৮টি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। যেখানে যেখানে মোট ৫কেজি ৪২০ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে যেভাবে হেরোইনের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে তা রোধ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পরিসংখ্যান বলছে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মাদক সংক্রান্ত ৩৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে। ১৩ কেজি ৩৪৪ গ্রাম হেরোইন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৫৬জন।
গত দু'মাসে কেবল লালগোলা থানা এলাকাতে ১৮ এনডিপিএস মামলা হয়েছে, সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত ৫.৪২০ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। কেবল লালগোলা থানা এলাকা থেকে হেরোইন পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে দু'মাসে ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ সুপার বলেন, ' ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি ধৃত ব্যক্তিরা কোথা থেকে বিপুল পরিমান হেরোইন পেয়েছিল। মাদক চক্রের বাকি মাথাদের খোঁজে সেই সমস্ত জায়গাগুলোতে পুলিশ রেইড শুরু হয়েছে বাকিটা তদন্তের স্বার্থে এখন বলা সম্ভব নয়"।সন্ধ্যার শেষ পাওয়া খবরে জানা যায় ধৃত ওই তিন মাদক পাচারকারীকে নারকটিক ড্রাগস এন্ড সাইকোট্রপিকস সাবস্টেন্স অ্যাক্টে ১০দিনের পুলিশ হেফাজতের বিশেষ এনডিপিএস আদালতে তোলা হয় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ।সেক্ষেত্রে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক ওই কুখ্যাত মাদক পাচারকারীদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন"।