সংক্ষিপ্ত

  • সম্প্রীতির নয়া ছবি দেখল রাজ্য
  • ইদের নমাজিরা জল দান করলেন শিবভক্তদের
  • নমাজ শেষে মুসলিমরা তৈরি করলেন শরবত
  • ইদ ও গাজন মিলেমিশে একাকার

একই দিনে ইদ, সেই দিনেই অক্ষয় তৃতীয়া। শুক্রবার সম্প্রীতির নয়া ছবি দেখল রাজ্য। ইদ উৎসবের মাঝেই গাজনে অংশগ্রহণকারীদের জল খাওয়ালেন নমাজিরা। ইদেরর নামাজের দিনে গাজনের জল ঢালা উৎসব ছিল।

মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেলিয়া শিব মন্দিরে জল ঢালতে সুদূর ধেড়ুয়ার কংসাবতী নদী থেকে জল তুলে হেঁটে আসছিলেন শিবের ভক্তরা। রাস্তায় ইদগার সামনে দাঁড়িয়ে নমাজ শেষে মুসলিমরা শরবত তৈরি করলেন ওই ভক্তদের জন্য। সম্প্রীতির এই চিত্র শুক্রবার দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া ও বেলিয়া এলাকায়।

বেলিয়া শিব মন্দিরে প্রতিবছরই এমন দিনে গাজন উৎসব হয়ে থাকে। সেইমতো গাজনের জল ঢালা কর্মসূচিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ। গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকাতেই ইদের নমাজ সুশৃংখল রাখার চেষ্টার সাথে সাথে গাজনে অংশগ্রহণকারীদেরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে যাতায়াতে উৎসাহ দেওয়া হয়। 

বেলিয়া সংলগ্ন মুসলিম গ্রামে ইদগাতে ইদের নমাজ শেষ হয়েছিল দশটার মধ্যেই। এরপরই নমাজে উপস্থিত মুসলিম গ্রামবাসীরা রাস্তার পাশে শরবতের পাত্র ও গ্লাস নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূর থেকে কংসাবতী নদীর জল তুলে পুরুষ ও মহিলা ভক্তরা যখন মাথায় করে জল নিয়ে বেলিয়া গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন দাঁড়িয়ে থাকা মুসলিমরা তাদের শরবত পান করান। দুই পক্ষেরই ইদ ও গাজন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় ওই মুহূর্তে। 
উপস্থিত পুলিশকর্মীরা সম্প্রীতির ওই পরিবেশটা তারিয়ে উপভোগ করলেন।

এদিন একই রকম আরও একটি চিত্র দেখা গিয়েছে সেখান থেকে চার কিলোমিটার দূরে চাঁদড়া এলাকাতেও। সেখানেও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন ইদ উপলক্ষে শরবত পান করান এই ভক্তদের।