সংক্ষিপ্ত
পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে তারা দেখতে পান যে বাড়ির দোতলার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অভিজিত ও তার স্ত্রী সন্তানের নিথর দেহ।
একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু ঘিরে ক্রমশই রহস্য দানা (Mysterious death) বাঁধছে। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে। সম্পর্কে তারা বাবা, মা ও মেয়ে। অভিজিৎ দাস, দেবযানী দাস(স্ত্রী) সম্রাজ্ঞী দাস (কন্যা)কে শেষবার বুধবার দিন দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে আর তাঁদের কেউ দেখননি বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। এদিন সকাল থেকেই তাঁদের হাওড়া (Howrah) লিলুয়া থানার (Liluya) অন্তর্গত বেলগাছিয়া আই রোডের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। তাতেই অতিষ্ট হয়ে প্রতিবেশীরাই খবর দেন পুলিশে। সেই সময়ই বাড়িত আশেপাশে ঘোরাফেরার করার সময় তাঁরা দেখেন বাড়ির পাইপ দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে রক্ত। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তিন জনের মৃতদেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে তারা দেখতে পান যে বাড়ির দোতলার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে অভিজিত বাবু স্ত্রী দেবযানী দাস (৪২) এবং তার মেয়ে সম্রাজ্ঞী দাসের (১৩) দেহ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অভিজিৎ দাসকে (৪৭)। লিলুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন অভিজিৎ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও মেয়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাদের খুন করেছেন অভিজিৎ। তারপর নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্য়া করেন। ঘরের মধ্যেই একটি রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে বেশ কয়েক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে। দেহগুলিতে পচন ধরে গিয়েছে।
পঞ্জাবের পথেই কি ছত্তিশগড় কংগ্রেস, ৩০ বিধায়কের দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী বদলের জল্পনা তুঙ্গে
প্রতিবেশীরাও এই খুনের কোনও কিনারা করতে পারছেন না। কারণ স্বচ্ছ্বল হিসেবেই অভিজিতের পরিচয় ছিল এলাকা। ইন্ড্রাস্টিয়াল গুডসের ব্যবসা করত সে। মেয়ে নামী ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুলে পড়ল। স্ত্রী ছিলেন গৃহবধূ। পরিবারের কোনও বিবাদ ছিল না বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় কারও সঙ্গেই বিবাদ ছিল না দাস পরিবারের। সকলের সঙ্গেই স্বাভাবিকভাবে তারা মেলামেশা করতেন। তাই পুলিশের মতই প্রতিবেশীদের কাছেই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
'ভয়ঙ্কর শ্রদ্ধা' বলে চমক মহেশ মঞ্জরেকরের, গান্ধী জয়ন্তীয়েতেই গডসেকে নিয়ে ছবির কথা ঘোষণা
অভিজিতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। বুধবার থেকে টোলিফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। অন্যদিকে অভিজিৎ শ্বশুরবাড়ির পাড়াতেই থাকতেন। তাঁর শ্বশুর জানিয়েছেন মেয়ে অসুস্থ ছিল। তার চিকিৎসার জন্য কিছুদিন আগে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শেষবারের মত তাঁর কথা হয়েছিল। তখন সব স্বাভাবিক ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর আক্ষেপ কী করে কী হয়ে গেল!
Ladakh Standoff: চিনা সেনার মোকাবিলায় লাদাখে K9-Vajra, আলোচনাতেই ভরসা সেনা প্রধানের
অন্যদিকে স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয় লিলুয়া থানার পুলিশের কাছে। অভিজিৎ কী ভাবে খুন করেছে তাও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। তাই ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্যই অপেক্ষা করে রয়েছে লিলুয়া থানা। অন্যদিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিজিতের ব্যবসা সংক্রান্ত কাগজপত্র।