সংক্ষিপ্ত
টুইটারে সংক্রমণের হার তুলে ধরে শুভেন্দু লেখেন, "নবান্নর জন্য বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। ক্রিসমাস, ইংরেজি নববর্ষ উৎসব পালিত হয়েছে। পালিত হয়েছে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের উৎসব। বিপর্যয় ও বেহাল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সর্বদাই এগিয়ে বাংলা। বিধিনিষেধের ফলে শেষ পর্যন্ত ভুগতে হবে মানুষকেই।"
একের পর এক উৎসব (Festival) লেগেই রয়েছে রাজ্যে। আর তার মধ্যে শিকেয় উঠেছে করোনাবিধি (Corona Restriction)। তার মধ্যে বড়দিন (Christmas) ও বর্ষশেষের রাতে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল পার্ক স্ট্রিটে (Park Street)। সেখানে মুখে মাস্ক দেখা যায়নি অনেকেরই, এমনকী দূরত্ববিধি না মেনেই জমায়েত করেছিলেন বহু মানুষ। ঠিক তারপর থেকেই রাজ্যে বাড়তে শুরু করে করোনার দাপট। এর ফলে বাংলায় হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা (Kolkata)। কারণ সেখানে সংক্রমণ সবথেকে বেশি। এদিকে রাজ্যের এই অবস্থার জন্য তৃণমূল সরকারকেই (TMC Government) দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
রবিবার একটি টুইট (Tweet) করেছিলেন শুভেন্দু। যার শিরোনাম দেন ‘নবান্নের তৈরি কোভিডের বাড়বাড়ন্ত’ (Nabanna made Covid surge) ৷ আসলে বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) মুখে ‘ম্যান মেড বন্যা’-র (Man Made Flood) তত্ত্ব শোনা গিয়েছে ৷ আর এবার খানিকটা তারই পাল্টা ‘নবান্নের তৈরি কোভিডের বাড়বাড়ন্ত’-এর তত্ত্ব সামনে আনলেন শুভেন্দু ৷
আরও পড়ুন- বেশিরভাগই ডিউটি করেছেন পার্ক স্ট্রিটে, করোনা আক্রান্ত কলকাতা পুলিশের আরও ১৩ আধিকারিক
টুইটারে সংক্রমণের হার তুলে ধরে শুভেন্দু লেখেন, "নবান্নর জন্য বেড়েছে কোভিড সংক্রমণ। ক্রিসমাস, ইংরেজি নববর্ষ উৎসব পালিত হয়েছে। পালিত হয়েছে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের উৎসব। বিপর্যয় ও বেহাল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সর্বদাই এগিয়ে বাংলা। বিধিনিষেধের ফলে শেষ পর্যন্ত ভুগতে হবে মানুষকেই।"
করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন (Omicron Variant) নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কিন্তু, বহুবার সতর্ক করার ফলেও আমজনতার কোনও হুঁশ ফেরেনি। বড়দিন থেকে নববর্ষের উৎসব পালন, বাদ যায়নি কোনও কিছুই। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে ওই সময়গুলিতে নাইট কার্ফু শিথিল করা হয়। তবে পুলিশের কড়াকড়ি থাকলেও করোনাবিধি মানতে দেখা যায়নি অনেককেই। আনন্দে গা ভাসিয়েছিলেন বহু মানুষ। আর ঠিক তারপর থেকেই রাজ্যে হু হু করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। তবে শুধুমাত্র উৎসবের ভিড় নয়, চলছে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সহ নানা স্তরের জমায়েত। এই পরিস্থিতির মধ্যে ভোট করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন- এক সপ্তাহের মধ্যে ৪৩৯ থেকে ৬১৫৩, রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ
তারপরই করোনা পরিস্থিতির উপর রাশ টানতে রাজ্যে জারি হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ। সেই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ থেকে রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লোকাল ট্রেন ও মেট্রোর উপরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। সন্ধে ৭টার পর থেকে আর কোনও লোকাল ট্রেন চলবে না। এছাড়া ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে মেট্রো চালানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।